জুমবাংলা ডেস্ক : সম্প্রতি দুইটি ওষুধের বিক্রি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে আমেরিকা প্রশাসন। ওষুধ দুটি সিভিএস ফার্মেসি সরবরাহ করে আসছিলো। জ্যানটাক এবং রেনিটিডিন।
এফডিএ (ফুড এ্যান্ড ড্রাগ এ্যাডমিনিস্ট্রেশন) সূত্রে জানা গেছে, রেনিটিডিন পণ্যগুলোতে একটি সম্ভাব্য মানব কার্সিনোজেন থাকতে পারে। যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। তাই এই ঔষধ বিক্রি করতে বন্ধ করতে বলা হয় সিভিএস ফার্মেসিকে।
যদিও জ্যানটাক এবং রেনিটিডিন ওষুধগুলো এখনও অবধি বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়নি। তবে দেশটির প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের জানানো হয়েছে, তারা যেন রোগীদের এই ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকার ব্যবস্থাপত্র দেয়।
আমেরিকার ওই সিদ্ধান্তের পর ইতোমধ্যে ভারতও রেনিটিডিনের আমদানি ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরও রেনিটিডিন নিয়ে বেশ নড়েচড়ে উঠেছে। বাংলাদেশে প্রতিবছর ক্যান্সারে অকাল মৃত্যুর হার বাড়ছে। এ কারণেই রেনিটিডিন নিয়ে বিশেষ আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে ওষুধ প্রশাসনের একাধি সূত্র জানিয়েছে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানান, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কথা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ শিল্প সমিতির নেতাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা শেষে রেনিটিডিন ওষুধের কাঁচামাল আমদানি উৎপাদন ও বিক্রির উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের ৩১টি ওষুধ কোম্পানি প্রতিবেশী দেশ ভারতের ফারাক্কা নামক একটি কোম্পানি থেকে রেনিটিডিন ট্যাবলেট এর কাঁচামাল আমদানি করে। এছাড়া ডক্টর রেড্ডি নামক আরেকটি কোম্পানির কাঁচামাল আমদানির জন্য ব্লাক লিস্টে তালিকাভুক্ত থাকলেও সেখান থেকে এখনো আমদানি করা হয়নি। জনস্বার্থ বিবেচনায় এ দু’টি কোম্পানি থেকে রেনিটিডিন এর কাঁচামাল আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়া ওই কোম্পানি থেকে আমদানিকৃত কাঁচামাল দিয়ে নতুন করে কোন রেনিটিডিন উৎপাদন করা যাবে না। শুধু তাই নয়, বাজার থেকে কোম্পানিগুলো স্ব-উদ্যোগে রেনিটিডিন ট্যাবলেট প্রত্যাহার করে নেবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।