লাইফস্টাইল ডেস্ক : স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদের বহুবিধ কারণ থাকতে পারে। কিন্তু সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)র প্রকাশিত একটি সমীক্ষা রিপোর্টে প্রকাশ পেল একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাতে জানা গিয়েছে, মৃগী অথবা এপিলেপ্সি বিবাহবিচ্ছেদের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করে সারা পৃথিবীতে জুড়েই। হু’র সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে, পৃখিবীতে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ মৃগীরোগে আক্রান্ত।
এর মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ মানুষ ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির বাসিন্দা। রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, তৃতীয় বিশ্বের এই সমস্ত দেশগুলিতে মৃগী শুধু যে শারীরিক ব্যাধি তা-ই নয়, বরং এই সমস্ত দেশে এই রোগকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে নানাবিধ সামাজিক সংকীর্ণতাও। ভারতের মতো দেশের একটা বড় অংশের মানুষের কাছে মৃগীরোগ এখনও মানসিক ব্যাধি হিসেবে বিবেচিত হয়।
ব্যাপারটা এমনই পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে, মৃগীরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে বহু মানুষের বিয়ে পর্যন্ত হয় না। কিংবা বিয়ের পরেও ডিভোর্স হয়ে যায় মৃগীরোগের কারণে।
কিন্তু, রিপোর্ট এই তথ্যও প্রকাশ করেছে যে, মৃগীরোগে আক্রান্ত মানুষদের ৮০ শতাংশই মধ্যম বা নিম্নবর্গীয় আয় সম্পন্ন। দারিদ্র্যের কারণে এই সমস্ত মানুষজন এই রোগের যথাযথ চিকিৎসাও করাতে পারেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।