স্পোর্টস ডেস্ক : আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে দলের পারফরম্যান্সে ইতিবাচক কিছুই খুঁজে পাচ্ছেন না সাকিব আল হাসান। একশতে বাংলাদেশকে এক নম্বরও দিতে পারছেন না অধিনায়ক। শেষ ৭০ মিনিটের লড়াইয়ে আত্মসমপর্ণের পর নিজের সামর্থ্যের ঘাটতিও দেখছেন সাকিব।
প্রথম চার দিন আফগানদের দাপুটে পারফরম্যান্সে কাবু ছিল বাংলাদেশ। তারপরও শেষ দিনে বৃষ্টির সৌজন্যে সুযোগ এসেছিল ম্যাচ বাঁচানোর। বৃষ্টির পর শেষ ৪ উইকেট নিয়ে টিকে থাকতে হতো কেবল ৭০ মিনিট, সম্ভাব্য ১৮.৩ ওভার।
বাংলাদেশ হেরেছে ৩.২ ওভার বাকি থাকতে। ২২৪ রানে জিতেছে আফগানিস্তান।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে প্রথম প্রশ্নই হলো, এই টেস্টের পারফরম্যান্সে বাংলাদেশকে একশতে কত দেবেন তিনি। অধিনায়কের উত্তর, “জিরো…।”
শেষ ৭০ মিনিটের লড়াইয়ে বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়ার শুরু অধিনায়ককে দিয়েই। বিরতির পর প্রথম বলেই বাজে এক শটে বিদায় নেন সাকিব। পরে দলকে বাঁচাতে পারেনি বাকিরাও।
স্নায়ুচাপের মধ্যে কেবল ৭০ মিনিটও টিকে থাকার সামর্থ্য এই দলের নেই? সাকিবের উত্তরে থাকল অকপট স্বীকারোক্তি।
“মেনে নেওয়া আসলেই কঠিন (এমন হার)। খুবই হতাশার। ৪ উইকেট নিয়ে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট খেলতে হতো…।”
“ফলের দিক থেকে যদি দেখেন, সামর্থ্য অবশ্যই নাই। কারণ সেই সামর্থ্য থাকলে আরেকটু ভালো কিছু আমরা দেখাতে পারতাম।”
আফগানিস্তানের সঙ্গে এই পরাজয় হতাশার মিছিলে কোনদিকে থাকবে?
সাকিব বরাবরের মতোই অতীতে ফিরে তাকাতে অনাগ্রহী। নিরাসক্ত কণ্ঠে জানালেন কেবল এই ম্যাচ নিয়ে ভাবনাই।
“জানি না, ইতিহাসবিদ (নই)… আমার মেমোরি খুব শর্ট। খারাপ খেলেছি, ম্যাচ হেরেছি। এমন নয় এর আগে আমরা কখনও হারিনি বা জিতিনি। তবে সাম্প্রতিক যেটি হয়, সেটি নিয়েই আমরা বেশি নাড়াচাড়া করি। এখানে যেটা হয়েছে, আমরা খুব বাজে খেলেছি, পাশাপাশি আফগানিস্তান খুব ভালো খেলেছে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।