আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আসামের অর্থমন্ত্রী ও বিজেপির শীর্ষ নেতা হেমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু দেশ। তারা আমাদের অনেক সহায়তা করেছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বলবো তাদের লোকগুলো ফিরিয়ে নিতে। এই সংখ্যাটা হয়তো বেশি হবে না। তবে আমরা তাদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’
শনিবার ভারতের সিএনএন-নিউজ ১৮ কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এই কথা বলেন হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। এদিকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল একই মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ থেকে কেউ ভারত যায়নি।
আসামের অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের পর যারা এসেছেন তারা সমস্যার মুখে পড়বে। তাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি আছে। কিন্তু তাদের বিষয়টি আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি বলেন, ১৪ থেকে ১৫ লাখ লোক বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। হেমন্ত বলেন, এনআরসিতে নাম না থাকার অর্থ এই নয় যে, সবাই বিদেশি এবং তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কিছু বৈধ প্রক্রিয়া আছে যেগুলো পালন করা হবে। আমরা তাদের সহায়তা করবো। তবে এই সময়ের মধ্যে তারা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না। এছাড়া এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে অর্থমন্ত্রী হেমন্ত ‘ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনের (এনআরসি)’ তালিকাটিকে ত্রুটিযুক্ত বলে আখ্যায়িত করে বলেছেন, ক্ষমতাসীন বিজেপি আবারো রাজ্যের কয়েকটি অংশে পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করবে।
বিজেপি এনআরসিকে সমর্থন করে, তবে আমাদের মনে হয়েছে যে কিছু নির্দিষ্ট সমস্যা রয়েছে যা আগে দেখা উচিত ছিল। কেন্দ্র এবং আসাম সরকার সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করেছে যে আসামের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ২০ ভাগ এবং অন্য অংশে দশ ভাগ পুনর্বিবেচনার অনুমতি দেওয়ার হোক।
যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল :
হেমন্ত বিশ্ব শর্মার মন্তব্যের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এনআরসির তালিকার কথা আমি জানি। এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আর কে কোন বিষয়ে কী বলেছেন সেটা আমি জানি না। ভারত আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানালে আমরা জবাব দেবো। ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ থেকে ভারতে কেউ যায়নি। এটা হতে পারে যে, ভারতের বিভিন্ন অংশ থেকে তারা আসাম গেছে, বাংলাদেশ থেকে নয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির সময় ভারত সঙ্গে ছিল। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক চমত্কার। আমি মনে করি না যে ভারত কাউকে বাংলাদেশে পুশ করবে। সূত্র : ইত্তেফাক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।