জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশি দূতাবাসগুলো তাদের বাংলাদেশি কর্মচারীদের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে যে নিয়োগ দিয়েছে তাকে বেআইনি হিসেবে বর্ণনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। খবর ইউএনবি’র।
শুক্রবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আইন মতে আমাদের দেশে যারা আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক হন তারা কেউ বাংলাদেশি নাগরিক হতে পারেন না।’
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাসগুলো ইসির কাছে থেকে মোট ৭৪ জনের পর্যবেক্ষক কার্ড নিয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি করা ২৮ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। বাকি ৪৬ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক হবেন তাদের অবশ্যই অ-বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিভিন্ন মিশন তাদের কর্মচারী বাংলাদেশি নাগরিকদের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছে। এটা আইনের লঙ্ঘন। প্রত্যেক দেশেই এ নিয়ম রয়েছে।’
তিনি ঢাকার বিদেশি দূতাবাসগুলোকে দায়িত্বশীল হওয়ার এবং আচরণবিধি অনুসরণ করার আহ্বান জানান।
ইতোমধ্যে যেসব বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হয়েছেন তা বাতিল করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘সেটা নির্বাচন কমিশন জানে। তবে মিশনগুলোকে দায়িত্ব নেয়া উচিত। তারা যেহেতু আইন জানে, সুতরাং তাদের উচিত যেসব বাংলাদেশি কর্মচারীদের তারা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক বানিয়েছে তাদের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যেতে না দেয়া।’
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালায় (ধারা ১২: বাংলাদেশে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ) বলা হয়েছে- নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থা/কূটনৈতিক মিশনের নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হওয়ার বিধান নেই।
আন্তর্জাতিক সংস্থা/কূটনৈতিক মিশনের বিদেশি কর্মকর্তা/কর্মচারী বিদেশি পর্যবেক্ষক এবং স্থানীয় কর্মকর্তারা স্থানীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে গণ্য হবে। বিদেশিদের বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা অনুযায়ী এবং স্থানীয়দের স্থানীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালা অনুযায়ী আবেদন করতে হবে।
শনিবার অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ নির্বাচনে ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকরা পর্যবেক্ষক হিসেবে শহরের কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করতে যাচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।