আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশিসহ ২০০ অভিবাসী শ্রমিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি দিয়েছে নিয়োগকারী কারখানা কর্তৃপক্ষ। এই হুমকির মধ্যে আছেন বাংলাদেশ ও নেপালের অভিবাসী শ্রমিক, যারা কয়েক মাস আগেই দেশটিতে কাজে যোগদান করেছেন।
একজন অভিবাসী কর্মী একটি মুরগী প্রক্রিয়াকরণ কারখানার কাজের পরিবেশ এবং বিলম্বে বেতন দেওয়ার অভিযোগ করায় কর্তৃপক্ষ এ হুমকি দিয়েছে। এ বিষয়ে রোববার (আজ) ফ্রি মালয়েশিয় টু ডে অনলাইন পোর্টালে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।
সংবাদ সূত্রে জানা যায়, এই অভিযোগে কর্তৃপক্ষ ক্লাং উপত্যকায় একটি মুরগীর প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় কাজ করা দুই শতাধিক বাংলাদেশি এবং নেপালি শ্রমিককে নির্বাসনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
অভিবাসী অধিকার কর্মী অ্যান্ডি হলের উদ্ধৃতি দিয়ে ফ্রি মালয়েশিয়া টুডেতে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, কর্ম পরিবেশ ও বিলম্বে বেতন দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগের পর শ্রমিকদের ক্যান্টিনে জড়ো করে এবং সাবধান করে দেয় যে তারা যেন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনার বাইরে কোনো বিষয়ে করো সঙ্গে যোগাযোগ না করে। বহিরাগতদের কাছে তথ্য দিলে এবং এই ধরনের যোগাযোগ অব্যাহত থাকলে ফেরত পাঠানো হবে।
কারখানার রিসিভিং এরিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের সম্প্রতি প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম যেমন মাস্ক, গগলস এবং প্লাস্টিকের অ্যাপ্রন দেওয়া হয়েছে। পূর্বে, মুরগীর মল এবং রক্ত মিশ্রিত অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় ছিল। এমন কি সেখানে মুরগী জবাই করার পরপর মুরগী লাফাচ্ছিল।
কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের পর শ্রমিকরা শেষ পর্যন্ত তিন মাসের বেতন পেয়েছে, কিন্তু এখনও তাদের পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়, শ্রম বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট কারখানার কাছ থেকে কারণ জানতে চেয়েছে।
বাংলাদেশি কর্মীরা ডিসেম্বরে পেনাংয়ে কাজের জন্য আসার পরে আটকে পড়েছিল। শ্রমিকরা জানান, এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের জোহর বারু একটি কারখানায় পাঠিয়েছিল কিন্তু তাদের বাসটিকে দুই ঘণ্টা পর ফেরত পাঠায়। তারপরে তাদের সুবাং জায়ার একটি ছাত্রাবাসে রাখা হয়েছিল, যেখানে একটি মাত্র টয়লেট ছিল এবং একটি মুরগীর প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় কাজ করার জন্য রাখা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।