জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের কাছে একসঙ্গে দু’দেশের পাসপোর্ট। বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট ও পরিচয়পত্র রয়েছে বলে অভিযোগ পুলিশের।
সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এই দেশে থাকার অভিযোগে দুটি বাংলাদেশি পরিবারের মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পার্ক স্ট্রিট ও ফুলবাগান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। তারই ভিত্তিতে পুলিশ শুরু করেছে তদন্ত।
সূত্রের খবর, এই অভিযোগ ঘিরে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। কারণ, ইডির কাছে খবর, বাংলাদেশের এই ব্যবসায়ীদের বিপুল সম্পত্তি রয়েছে কলকাতা ও আশপাশের কয়েকটি রাজ্যে। আদালতের নির্দেশ পেলে ইডিও এই অভিযোগের তদন্ত করতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’দফায় হয়েছে এই অভিযোগ। কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল অফিস বা এসসিও-র আধিকারিকদের কাছে অভিযোগপত্র আসে। তারই ভিত্তিতে এসসিও-র গোয়েন্দারা তদন্ত করতে শুরু করেন। পূর্ব কলকাতার ফুলবাগান দায়ের থানায় করা এসসিও-র এক আধিকারিকের অভিযোগ অনুযায়ী, বাংলাদেশের এক ব্যবসায়ী তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্টে কলকাতায় আসেন। উত্তর শহরতলির নাগেরবাজার থানা এলাকায় একটি আবাসনে এসে থাকতে শুরু করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে যখন পুলিশ ওই ব্যবসায়ীর আবাসনে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন, তখন তাঁরা দেখেন যে, তাঁদের প্রত্যেকেরই রয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ, এই দু’দেশেরই পাসপোর্ট। বাংলাদেশের ভোটার কার্ডের মতো পরিচয়পত্র যেমন ওই ব্যবসায়ীদের কাছে রয়েছে, তেমনই তাঁদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ডের মতো ভারতীয় পরিচয়পত্রও রয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
ফলে কোনও ভিসা ছাড়াই ভারতীয় নাগরিক ভুয়ো পরিচয় দিয়ে তাঁরা কলকাতায় রয়েছেন বলে অভিযোগ পুলিশ। তারই ভিত্তিতে ব্যবসায়ী, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে বিদেশি আইন, প্রতারণা ও জালিয়াতির ধারা লাগু করে পুলিশ মামলা শুরু করেছে।
অন্য মামলাটি দায়ের হয়েছে পার্ক স্ট্রিটে। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন অন্য এক বাংলাদেশী ব্যবসায়ী, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। বাংলাদেশের এই নাগরিকরা তাঁদের ভারতীয় পরিচয়পত্র জোগার করে কলকাতায় থাকতে শুরু করেন। পার্ক স্ট্রিট এলাকায় ছিল তাঁদের অফিস। সেই কারণে পার্ক স্ট্রিট থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে বিদেশি আইন, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের হয়।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, তদন্তে জানা গিয়েছে যে, দুই বাংলাদেশি পরিবার কলকাতা, নিউটাউন, রাজারহাট, ঝাড়খণ্ডের রাঁচি, ওড়িশার রাউরকেল্লায় সম্পত্তি কিনেছে। এমনকী, কলকাতায় বসে আমদানি রপ্তানির ব্যবসাও করছেন এই ব্যবসায়ীরা। এই ব্যবসায়ীদের হাত ধরে বিপুল পরিমাণ টাকা হাওলার মাধ্যমে কলকাতায় এসেছে এমন খবরও আসে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে। যদিও এই তথ্যগুলি যাচাই করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।