জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের কাছে ২০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের। ত্রিপুরা রাজ্যের একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে আমদানি করা বিদ্যুৎ খাতে এ দেনা রয়েছে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের। ২০১৪ সালে ত্রিপুরা রাজ্যের পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণকাজ শেষ করে উৎপাদনে আসে। ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দু’টি ইউনিটে মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৭২৬ মেগাওয়াট।
এর মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে শুরুতে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছিল ত্রিপুরা সরকার। ক্রমান্বয়ে সেটা বাড়িয়ে ২৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিক্রি করার কথা ছিল কিন্তু শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালীন সময় থেকে এ পর্যন্ত ২০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বাংলাদেশের কাছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেই ২শ’ কোটি টাকার বকেয়া আদায় করা যাবে কিনা তা নিয়ে গতকাল বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ত্রিপুরার জনপ্রিয় বাংলা পত্রিকা স্যন্দন।
পত্রিকাটি জানায়, ত্রিপুরা রাজ্যের সূর্যমণি নগরে বিদ্যুৎ গ্রিডটি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় বিদ্যুৎ গ্রিডের সংযোগ স্থাপন করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো যা এখনো সরবরাহ হচ্ছে। বিপুল পরিমাণ বকেয়া থাকার পরও প্রতিদিন বাংলাদেশে সরবরাহ হয় ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার বিদ্যুৎ।
পত্রিকাটি আরও জানায়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সেই বকেয়া টাকা উদ্ধার করতে না পারলে এর প্রভাব উৎপাদনে পড়বে যার ভুক্তভোগী হবে রাজ্যের জনসাধারণ। পালাটানা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি স্থাপনের জন্য যাবতীয় ভারী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছিল বাংলাদেশের আশুগঞ্জ নদীবন্দর দিয়ে। ভারী যন্ত্রপাতি প্রেরণে যদি ঢাকার অনুমতি না থাকতো তা হলে ওইসব যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম দুর্গম ত্রিপুরাতে পাঠানো অনেক কঠিন হয়ে পড়তো বলেও পত্রিকাটি স্বীকার করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।