
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে “কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ” বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মনোনীত রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথে পাশে থাকতে চায়।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক কমিটিতে নিজের মনোনয়ন শুনানিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ আগামী বছর এমন এক নির্বাচনে অংশ নেবে, যা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উজ্জ্বল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, সিনেট তাঁর মনোনয়ন অনুমোদন করলে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের নেতৃত্ব দেবেন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করবেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারে।
ভির্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ক্রিস্টেনসেন একজন পেশাদার কূটনীতিক এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সিনিয়র ফরেন সার্ভিসের কাউন্সেলর শ্রেণির কর্মকর্তা। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনয়নে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, “বাংলাদেশকে প্রায়ই নতুন ‘এশিয়ান টাইগার’ বলা হয়। দেশটি বিশাল সম্ভাবনার অধিকারী। এই মনোনয়ন পেয়ে আমি সম্মানিত ও কৃতজ্ঞ।”
ক্রিস্টেনসেন আরও বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান দেশটিকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে। “২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থী নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে ১৫ বছরের সরকার পতনের পর বাংলাদেশ এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে,” বলেন তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের দ্বারপ্রান্তে— যা জনগণের অধ্যবসায় ও স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ বিগত আট বছর ধরে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শরণার্থী জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই মানবিক উদ্যোগে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে। তবে এই সহায়তা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই করতে আরও দেশকে এগিয়ে আসতে হবে।”
ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ক কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি পররাষ্ট্র দফতরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করেছেন।
তিনি আরও দায়িত্ব পালন করেছেন ম্যানিলা, সান সালভাদর, রিয়াদ ও ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটিতে মার্কিন কূটনৈতিক মিশনে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে মার্কিন দূতাবাসে রাষ্ট্রদূতের পদটি শূন্য রয়েছে। বর্তমানে দূতাবাসে ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



