নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত তালাবওয়ালা জামে মসজিদ খুলনা অঞ্চলের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় স্থাপত্য-নিদর্শন। এ মসজিদের সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর। মিনার, গম্বুজ ও নকশার ভিত্তিতে এটি খুলনা বিভাগের সেরা মসজিদ। এ মসজিদে রয়েছে খুলনা বিভাগের সর্বোচ্চ মিনার। ২২৬ ফুট উচ্চতার মিনার ও মসজিদ টাইলস করা। মিনারের আলোকসজ্জা রাতে এক অনন্য আবহ তৈরি করে। এখানে নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক শৌ’চাগার, গোসলখানা ও ওজুখানা। যা খুলনার আর কোনো মসজিদে নেই।
তালাবওয়ালা জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় নগরীর জামি’আ ইসলামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম মাদরাসায়। প্রতি শুক্রবার এখানে জুম্মার নামাজ আদায় করতে দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা ভিড় জমান। নামাজ আদায়ের সঙ্গে সঙ্গে মসজিদের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ নয়নে বাড়ি ফেরেন সবাই। খুলনা মহানগরীর মুসলমানপাড়ার এ মসজিদের প্রধান গেটকে বলা হয় ‘তালাবওয়ালা শাহী গেট’। নান্দনিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এ মসজিদ ও মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা দানবীর আব্দুল হাকীম জমাদ্দার।
মসজিদের সামনে ও পেছনে রয়েছে অসংখ্য সুপারি ও নারকেল গাছ। ভরদুপুরে এসব গাছের ছায়া মুসল্লিদের মনে প্রশান্তি এনে দেয়। তালাবওয়ালা জামে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মাহবুব খান বলেন, ফুলের মতোই সুন্দর এ মসজিদ। ভেতর-বাইরের অপরূপ সৌন্দর্য মুগ্ধ করে সবাইকে। শুধু খুলনা নয়, দেশের সবচেয়ে সুন্দর মসজিদের তালিকায় অনায়াসে শীর্ষস্থানের দাবিদার মসজিদটি।
আরেক মুসল্লি আলী পাকবাজ জুয়েল বলেন, রমজান মাসে অধিকাংশ মসজিদে খতম তারাবিহ ২৭ দিনে শেষ হলেও এ মসজিদে তারাবিহ শেষ হয় মাত্র ছয় দিনে। মসজিদের খতিব ও ইমাম মাওলানা মোশারফ হোসেন জানান, তালাবওয়ালা জামে মসজিদে প্রায় দুই হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।