চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বাজারের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ডিমগুলো প্লাস্টিকের ডিম কি না তা নিশ্চিত হতে রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে হাজীগঞ্জ বাজার থেকে এক ক্রেতা বেশ কিছু ডিম বাসায় নিয়ে যান। তাতে ডিমের মধ্যে ব্যতিক্রম কিছু পরিবর্তন দেখেন। এর পরেই ওই ক্রেতা ডিমগুলো সেই দোকানে নিয়ে যান। আর এগুলো প্লাস্টিকের ডিম বলে সন্দেহ করেন। এর পরেই বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক শামছুল ইসলাম রমিজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাজীগঞ্জ বাজারের শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন তালুকদার জানান, গত বুধবার পৌর হকার্স মার্কেটের মাইশা স্টোর থেকে ২১টি ডিম ক্রয় করেন। পরে এসব ডিম বাসায় নিয়ে রান্না করতে গেলে ডিমগুলো রাবারের মতো দেখতে পান। তখনই তিনি ডিমগুলো মাইশা স্টোরে ফেরত দেন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেন।
ঘটনা সম্পর্কে মাইশা ষ্টোরের ইব্রাহিম খলিল জানান, ডিমগুলো প্লাস্টিকের কি না জানি না, তবে আমি শাহরাস্তি উপজেলার ওয়ারুক বাজার থেকে পাইকারি ডিম এনে বিক্রি করে থাকি আর আমি তা খুচরা হিসেবে বিক্রি করে থাকি। ডিমগুলো পুরাতন কিংবা নষ্ট হতে পারে কিন্তু প্লাসটিকের ডিম আসবে কোথায় থেকে বলে জানান দোকানি ইব্রাহিম খলিল।
এ বিষয় হাজীগঞ্জ উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক শামছুল ইসলাম রমিজ জানান, খবর পেয়ে আমি ওই দোকানে গিয়ে অভিযোগকারীর কাছ থেকে ৩টি ডিম জব্দ করেছি। এর মধ্যে একটি ডিম সিলগালা করে দোকানিকে দিয়ে আসি আর বাকী দুইটি ডিম সত্যি প্লাস্টিকের ডিম কি না তা নিশ্চিত হতে সংরক্ষণ করে রাজধানী ঢাকার মহাখালী জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে হাজীগঞ্জ বাজারে দোকানে বিক্রি হচ্ছে প্লাস্টিকের ডিম এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়লে অনেকের মধ্যেই খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।