স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশেই নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন মাসাকাদজা। আর বাংলাদেশে বিদায় জানাতে পেরে বেশ খুশি মাসাকাদজা। জানালেন বাংলাদেশ মানুষের প্রতি তার অনুভবের কথা।
এই ব্যাপারে তিনি বলেন ,’ “বাংলাদেশের মানুষদের ক্রিকেট নিয়ে অনেক আবেগ এবং অনেক ধারণা রয়েছে। প্রতিপক্ষ দলও যখন ভালো করে তখন তারা সেটি উপভোগ করে। আমি সবসময় বাংলাদেশে সময় কাটাতে বেশ উপভোগ করি এবং মানুষ আমাকে যেভাবে গ্রহণ করেছে তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।”
তিনি আরো বলেন ,’ এটা সত্যি অনেক ভালোলাগে যখন বাংলাদেশের মানুষদের কাছ থেকে যে ভালোবাসাটা পাই আমি। আগেও তারা আমাকে অনেক ভালোবাসা দিয়েছে, এখনও দিয়েছে। অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর অনেক অনুপ্রেরণামূলক বার্তা ও অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসা পেয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে আমাকে ভালোবাসে তা দেখে আমি মুগ্ধ এমনকি যখন আমি বিপরীত দলের হয়ে খেলি তখনও একই পরিমাণ ভালোবাসা পাই।”
‘অবৈধ রুটে’ চলছিল বাস, চালকের ছিল না লাইসেন্স
জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর মহাখালীর আমতলীতে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা ফারহানাজ নামের নারীকে বাস চাপায় নিহতের ঘটনায় বাসটির চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনার ২২ দিন পর গতকাল শুক্রবার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে চালক মো. শামীম ছৈয়ালকে (২০) গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম।
আজ শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা উত্তর বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গ্রেপ্তার শামীমের ড্রাইভিং লাইসেন্স হালকা ধরনের গাড়ি চালানোর জন্য অনুমোদিত ছিল। ওই বাসটি চালানোর জন্য ঢাকা-ভৈরব রুটের অনুমোদন ছিল। কিন্তু বাসটির মালিক ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট মিনি সার্ভিস ব্যানারে (মিরপুর ১৪ থেকে বনানী কাকলি রুট) এর পরিচালনা কমিটির সাথে যোগসাজস করে তাদের প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে জমা দিয়ে অনুমোদন বিহীন রুটে বাসটি চালাতেন।
বাস থেকে সারা দিনে প্রায় ৪ হাজার টাকা আয় হলে চালক ৭০০ টাকা এবং হেলপারকে ৪০০ টাকা বেতন দেওয়া হতো। ৪ হাজার টাকার বেশি আয় হলে প্রতি হাজারে তাদের ১০০ টাকা করে বেশি দেওয়া হতো। বেশি টাকা পাওয়ার লোভে মহাখালীতে বেপরোয়াভাবে বাস চালাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা গটে।
উল্লেখ্য, ফারহানাজ মহাখালীর রাইসকো ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ লিমিটেড প্রাগন হাউজে চাকরি করতেন। ঘটনার দিন গত ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ফারহানাজকে অফিসে যাওয়ার জন্য তার স্বামী মহাখালী আমতলী ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে নামিয়ে দেন। ফারহানাজ রাস্তা পারাপারের জন্য ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন ক্যান্টনমেন্ট মিনি সার্ভিসের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো জ-১১-৩০০৩ ) বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে ফুটপাতের ওপর উঠিয়ে দেয়।
ফুটপাতে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা ভুক্তভোগী ফারহানাজকে সজোরে ধাক্কা দেয় বাসটি। ধাক্কায় ফারহানাজ গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় পরে যান এবং অন্য একজন পথচারী কাওছার গোমস্তা আহত হন। ঘটনাস্থলে বাসের চালক ও হেলপার বাসটি ফেলে পালিয়ে যান। মুমূর্ষু অবস্থায় ফারহানাজকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বনানী থানায় ওই দিনই একটি মামলা রুজু হয়।
মামলাটি প্রথমে তদন্ত শুরু করে বনানী থানা পুলিশ। পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলাটি তদন্তকালে গতকাল মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসচালক মো. শামীম ছৈয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।