জুমবাংলা ডেস্ক : কাতার বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট বা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ও কাতারের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সালমান এফ রহমান। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সালমান এফ রহমান এবং কাতারের নেতৃত্ব দেন দেশটির শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন হামাদ আল থানি।
সালমান এফ রহমান বলেন, বৈঠকে এফটিএ’র বিষয় প্রস্তাব দিলে কাতারের মন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ প্রস্তাব তারা খুবই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, বিশ্বের অনেকগুলো দেশের সঙ্গে তাদের এফটিএ আছে, সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে করেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে এ চুক্তি করার শেষ পর্যায়ে রয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গেও এফটিএ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তারা।
তিনি আরও বলেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ এবং সুকুকে (শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি বন্ড) বিনিয়োগ নিয়েও তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছে। এছাড়া দু’দেশের বেসরকারিখাত উন্নয়নে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ থেকে কাতার খাদ্যপণ্য আমদানি করে। বাংলাদেশ মাংসসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য দেশটিতে রপ্তানি করতে চায়। তবে কাতার প্রতিনিধিদল বলছে, এ আমদানি–রপ্তানি পুরোটাই হয় বেসরকারি খাতের হাত ধরে। তাই দু’দেশের সরকার এক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে এসব ক্ষেত্রে ব্যবসা–বাণিজ্যের উন্নয়নে কাজ করবে।
দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে কাতার সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কাতারে চেম্বারের প্রেসিডেন্ট এ প্রস্তাবে স্বাগত জানিয়েছেন। আমি মনে করি, এ বিষয়ে পরবর্তীতে ফলোআপ করলে উভয় দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে লাভবান হবে।
বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করতে কাতার আগ্রহী এমনটি শোনা যাচ্ছিল এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাতারে একটি বড় বন্দর রয়েছে কিন্তু সেটি সেভাবে ব্যবহার হচ্ছে না। তাই তারা আমাদের বন্দরের বিষয়ে আরও জেনে তাদের বন্দরের সঙ্গে ট্রেডিং করিডোর তৈরির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়টি নিয়েও আগামীতে কাজ হবে।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ও এফবিসিসিআই সভাপতি ছাড়াও সরকারের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।