জুমবাংলা ডেস্ক : বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেছেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য থেকে বিশ্বের বহু দেশেরই শিক্ষা নেয়ার রয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার উদ্ভাবনী পদ্ধতির জন্য স্বতন্ত্র।
বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্থানীয় সময় সোমবার (১ মে) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের সদর দফতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডেভিড ম্যালপাস এ কথা বলেন। বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তার বক্তব্য বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
সোমবার (১ মে) ছিল বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংক অংশীদারত্বের ৫০ বছর। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে এদিন সকাল থেকে বিশ্বব্যাংক সদর দফতরে বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও তার প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান সংস্থার প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস।
বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংক অংশীদারত্বের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে আপনার সফরে আমরা সম্মানিত। বাংলাদেশের গল্প উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও টেকসই উন্নয়নের গল্প। নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ কীভাবে নিজেকে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে আমরা ধারাবাহিকভাবে প্রত্যক্ষ করেছি। আর সেই শুরু থেকেই বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় অবিচল অংশীদার।
বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের আগস্টে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সদস্য হয়। একই বছরের নভেম্বরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য প্রথম প্রকল্প অনুমোদন করে। এর আগে ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্বব্যাংকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট ম্যাকনামারা ঢাকা সফর করেন ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বাংলাদেশ নজিরবিহীন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বলেন, বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে আয় বৃদ্ধি ও দারিদ্র্য হ্রাসে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে আমরা স্বাগত জানাই।
ডেভিড ম্যালপাস বলেন, বেসরকারি খাতকে আরও শক্তিশালী করতে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, করের ভিত্তি প্রসারিত, আর্থিক খাত শক্তিশালীকরণ এবং অর্থনৈতিক ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বব্যাংক তার সমর্থন অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছরের অংশীদারত্বের স্মৃতিচারণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের অংশীদারত্ব লক্ষ লক্ষ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে সাহায্য করেছে এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশের মধ্যে একটি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশের জন্ম হয়, তখন অনেক উন্নয়ন বিশেষজ্ঞই দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অঙ্কুরিত আকাঙ্ক্ষা ও আমাদের জনগণ বিশ্বকে দেখিয়েছে, দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে কঠিন চ্যালেঞ্জকেও অতিক্রম করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, এই উন্নয়ন যাত্রা সহজ ছিল না। কিন্তু আমরা কখনো সাহস হারাইনি। বিগত ৫০ বছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে পাশে থেকেছে, আমাদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করেছে। ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ যাতে উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করতে পারে, সেজন্য আমরা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একত্রে কাজ করার আশা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।