দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। সময়ের সাথে সাথে এ রিজার্ভ আরও বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে যে ঋণের কিস্তি পাওয়ার কথা ছিল সেটি পেতে দেরি হল কোন অসুবিধা হবে না।
অর্থনীতিতে তা কোন নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে পারবে না। ঢাকা ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের এক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরো জানান যে, ২০২৫ সালের শেষদিকে মূল্যস্ফীতি যেনো ৭ শতাংশের মধ্যে আনা যায় সেটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্য হবে।
বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার কথা স্বীকার করে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংক আমানত কমে গেছে ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে।
ড. মনসুর আরও বলেন, ‘ট্রেজারি বিল বন্ডের হার সাড়ে ১২ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশের নিচে নেমে আসায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এটি ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ কমে আসার ইঙ্গিত দেয়, যা বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করেছে।’
গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থান স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে। স্থিতিশীল বিনিময় হার এবং ব্যালেন্স অব পেমেন্টে উদ্বৃত্ত রয়েছে। তিনি এটিকে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবেও বর্ণনা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।