জুমবাংলা ডেস্ক : জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে বিরোধী কার্যক্রমের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ধরণের সমাবেশের ফলে জনগণের মধ্যে আইসিটি ও টেলিকম খাতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে “ফ্যাসিস্ট বিরোধী জুলাই নেটওয়ার্ক” নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং সরকারের কার্যক্রমকে সমালোচনা করতে সমবেত হন।
Table of Contents
এটি বোঝা যায় যে, সাম্প্রতিক সময়ে আইসিটি ও টেলিকম খাতের দুর্নীতি বাংলাদেশে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বক্তারা দুর্নীতিবাজদের অপসারণ, নতুন উদ্যোক্তাদের লাইসেন্স প্রদান এবং স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরির দাবি জানিয়েছেন। এই সমস্যা সমাধানে সরকারের কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর জন্য জনগণের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জরুরি।
আইসিটি ও টেলিকম খাতে দুর্নীতির ধরন
আইসিটি ও টেলিকম খাতে দুর্নীতি বিভিন্ন রূপে প্রকাশ পাচ্ছে, যা পরিচালনা পদ্ধতি, লাইসেন্স প্রদান এবং প্রকল্পগুলোর টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বক্তারা অভিযোগ করেছেন যে, বিটিআরসি ও আইসিটি বিভাগের দুর্নীতি স্বার্থের কারণে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠছে।
এটুআই, আইডিইএ এবং স্টাটআপ বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এই দুর্নীতি তদন্তের আওতায় আনার এবং এ ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন, ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনাকেও বিচারাধীন আনার দাবি করা হয়েছে।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারী নেতাদের বক্তব্য
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা তাদের বক্তব্যে স্পষ্ট করেছেন যে আইসিটি ও টেলিকম খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। ফরহাদ মজহার বলেছেন, “গণ-অভ্যুত্থানের পর আমাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে গণসার্বভৌমত্ব কায়েম করা।” তিনি উল্লেখ করেন যে, এটি নিশ্চিত করতে হবে যে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, “ডিজিটাল সেক্টরে ফ্যাসিস্টদের সহযোগীদের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করার জন্য আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।” এই বিষয়টির গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তোলে।
সরকারের উপর দায়িত্বের ব্যাখ্যা
এ ধরনের সমাবেশগুলি সরকারের দায়িত্ব উপলব্ধি করাতে সহায়ক হতে পারে। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা সমাবেশে অংশ গ্রহণ করেছেন এবং তারা সরকারের কাছে আবেদনের মাধ্যমে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবি, সরকার যেন স্বচ্ছ লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়া তৈরি করে এবং দুর্নীতির শেষ টান দিতে চেষ্টা করে।
বাংলাদেশের টেলিকম খাতের বর্তমান পরিস্থিতি স্বচ্ছ না হলে এর প্রভাব দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে যথেষ্ট নেতিবাচক হতে পারে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে এই খাতের অবকাঠামোকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
“ফ্যাসিস্ট বিরোধী জুলাই নেটওয়ার্ক” জানিয়েছে যে, এই আন্দোলন শুধুমাত্র একদিনের সমাবেশে সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং তারা ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে আইসিটি ও টেলিকম খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
সমাবেশের ফলস্বরূপ জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির আশা প্রকাশ করা হচ্ছে এবং তাতে জাতীয় প্রয়োজনীয়তার একটি ইঙ্গিত রয়েছে। আন্দোলনকারীদের আহ্বান হলো সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সচেতন করে তুলতে এবং শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে।
FAQs
আইসিটি ও টেলিকম খাতের দুর্নীতি কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে?
আইসিটি ও টেলিকম খাতের দুর্নীতি দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে না। দুর্নীতি খাতের সুষ্ঠু দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশে আইসিটি খাতের দুর্নীতির কারণে কি সমস্যাগুলো হয়েছে?
আইসিটি খাতে দুর্নীতির কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনাস্থা ও প্রতিযোগিতার অভাব দেখা দিয়েছে, যা টেলিকম সেক্টরের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে।
গণসার্বভৌমত্ব কি?
গণসার্বভৌমত্ব বলতে জনগণের ক্ষমতা এবং স্বাধীনতা বোঝায়, যার মাধ্যমে জনগণ নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়।
ফ্যাসিস্ট বিরোধী জুলাই নেটওয়ার্কের উদ্দেশ্য কী?
ফ্যাসিস্ট বিরোধী জুলাই নেটওয়ার্কের উদ্দেশ্য হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণকে সংগঠিত করা এবং একটি দুর্নীতিমুক্ত আইসিটি ও টেলিকম খাত গড়ে তোলা।
এমন প্রতিবাদ সমাবেশের ফলে সরকার কি পদক্ষেপ নিতে পারে?
এমন সমাবেশের ফলে সরকারকে জনস্বার্থে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হতে পারে, যা দুর্নীতির অবসান ঘটাতে সাহায্য করবে।
আমি কি এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে পারি?
হ্যাঁ, কেউ চাইলে এই আন্দোলনের অংশগ্রহণ করতে পারেন এবং নিজেদের আত্মপ্রকাশ করার সুযোগ নিতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।