রাজধানী ঢাকায় (৯ মে) বিকাল প্রান্তে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকদের একটি বৃহৎ দল শাহবাগে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সংগঠিত এই কর্মসূচি জনমনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা এককাট্টা হয়ে আওয়াজ তুলেছেন, “ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো”। এই সমাবেশের আগের দিন থেকেই আন্দোলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
Table of Contents
আন্দোলনের এ কালে, জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলীয় সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরকারের প্রতি তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার এখনও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেনি। এটি জনস্বার্থের জন্য অত্যন্ত জরুরি।” দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে, তিনি আরও জানান, সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের দাবির পেছনে কারণ
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে тমাল সন্দেহ যা সাধারণ জনগণের মনে দানা বেঁধেছে, তা তুলে ধরতে রাষ্ট্রের ইতিহাসের ঘটনাবলীর উল্লেখ করেন হাসনাত। তিনি গণহত্যা, দেশের অভ্যুত্থান এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নকালে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতার দৃষ্টান্ত দেন।
সমাবেশে হাসনাত মন্তব্য করেন, “আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অধ্যায় ৫ আগস্টেই শেষ হয়ে গেছে। তাদের কার্যকলাপ দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে চলছে।” বিক্ষোভকারীদের মধ্যে, আওয়ামী লীগকে ‘ভাইরাস’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই ভাইরাসের মোকাবিলা না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।” বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরীরা জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন এবং জনগণের স্বার্থপ্রবণ রাজনৈতিক সংস্কৃতির গঠনমূলক পরিবর্তনের কথা তুলে ধরেন।
জনগণের সমর্থন ও বিক্ষোভের অভিব্যক্তি
আজ দুপুর থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে মানুষ গিয়ে জড়ো হতে থাকে। যুবক-যুবতি, বৃদ্ধ-নারী সবার অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো ছিল। অনেকেই জুমার নামাজ শেষে সমাবেশে এসে যোগ দেন। জনতার মাঝে উন্মাদনা যেন দেখা যাচ্ছে, শাহবাগের মোড় এখন জনসমাগমের কেন্দ্রবিন্দু। প্রতিটি স্লোগানে জনগণের হতাশা ও তাদের সমর্থন ফুটে উঠেছে।
বিক্ষোভে উপস্থিত একজন প্রকৌশলী জানান, “আমরা এই সরকারের পতন চাই। মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে এবং সকল শক্তি দিয়ে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছি।” এদিকে, একজন শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা আমাদের অধিকার ও সঠিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্য লড়াই করছি।”
আওয়ামী লীগ এবং তার ইতিহাস: এক সমীক্ষা
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ দীর্ঘকাল ধরে চলমান। রাজনৈতিক ইতিহাসের পৃষ্ঠায়, গত দুই দশকে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। বিভিন্ন সময় দলটির কর্মকাণ্ডে মানবাধিকারের লঙ্ঘন, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও অপপ্রচারও হয়েছে অস্বীকার আরেকটি আলোচ্য বিষয়।
হাসনাত তুলে ধরেছেন “জাসদের ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা এবং ২০০৬ সালের গণহত্যার কাণ্ড”। এই মন্তব্যে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের সমালোচনায় জনমনে নতুন আলোচনাও সৃষ্টি হয়।
শনিবার বিভিন্ন তরুণ সংগঠনের সমর্থনে দলের একটি সম্প্রসারণ ঘটতে পারে বলে জানা যায়। জনগণ যে আশা নিয়ে বেরিয়েছে, সে আশায় কিছুটা হলেও উৎকর্ষ আনতে পারে।
আইন ও মানবাধিকার: বর্তমান প্রেক্ষাপট
এটি নির্মাণে সরকারের আদিবাসী ভোটারদের কাছে মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্ঠা করা হলেও, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং প্রতিবাদের মুখে সরকার আদৌ এ বিষয়টি থামাতে পারবে কিনা, তা শঙ্কার বিষয়। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক দেশব্যাপী রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পর্যবেক্ষণ ও সমালোচনা চলছে। বিশেষ করে সংস্থাগুলোর মানবাধিকারের মান ও রেটিং সম্পর্কে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে।
এক্ষেত্রে, রাষ্ট্রীয় আইন প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়ন যে ধরনের মানবতার বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে তা পশ্চিমা বিশ্বের নজর কাড়ছে। সচেতন সম্প্রদায়কে চিন্তা করতে হবে, “কি করে দেশের উদ্ভাসিত ভবিষ্যতকে রক্ষা করতে হবে।”
অবশ্যই আগামী দিনের আন্দোলনে বিকল্প শক্তির উত্থান ঘটিনে বিষাদক যুগ হতে এই জরুরি আন্দোলন থেকেই সম্ভাবনা জন্ম নিতে পারে।
‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির পুনরাবৃত্তি: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করলে চ্যালেঞ্জ বাড়বে
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের জন্য কেন আন্দোলন করা হচ্ছে?
উত্তর: আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, ইতিহাসজুড়ে আগুন লাগানো কর্মকাণ্ড এবং গণহত্যার মতো ঘটনার কারণে জনগণ তাদের নিষিদ্ধের দাবি তুলছেন।
প্রশ্ন ২: আন্দোলনকারীরা কোন দাবিগুলি উত্থাপন করছেন?
উত্তর: আন্দোলনকারীরা মুক্ত বাক ও গণতন্ত্রের দাবিতে সোচ্চার। তারা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যকলাপকে কঠোরভাবে সমালোচনা করছেন।
প্রশ্ন ৩: বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের কী ক্ষোভ?
উত্তর: মানুষের মনে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের মূল কারণ হলো সরকারের নানা দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দমনপীড়ন।
প্রশ্ন ৪: বিক্ষোভের সময় জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া কেমন?
উত্তর: জনগণের মধ্যে বিক্ষোভের সময় উৎসাহ ও শঙ্কার মেলবন্ধন দেখা গিয়েছে। তারা চায় সরকার তাদের কথা শুনুক।
প্রশ্ন ৫: আন্দোলনকারীরা ভবিষ্যতে কি আশা করছেন?
উত্তর: তারা আশা করছেন সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের একটি শক্তিশালী ঐক্য গড়ে উঠবে এবং রাজনৈতিক পরিবর্তন আসবে।
Disclaimer: This article is intended for informational purposes only and should not be construed as professional advice. Content accuracy is checked to the best of our ability but is subject to change. Always verify directly with official sources.
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।