জুমবাংলা ডেস্ক : গত ১৫ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ‘আরব বসন্তের’ মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
মুখপাত্রের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি বলেন, দশ বছর আগে ইউক্রেনে কী হয়েছিল মস্কোতে মুখপাত্র সেই তুলনা ঢাকার সঙ্গে করেছেন। তিনি দেখাতে চেয়েছিলেন পশ্চিমা দেশগুলোর দ্বারা কী ঘটানো সম্ভব।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকার রুশ দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মাইন অপারেশনে সহায়তা করেছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌবাহিনী। মাইনমুক্ত করার কাজে সহায়তাকারী সেই নৌবাহিনীর দুই সদস্য ভিটালি গুবেনকো ও আলেক্সান্ডার জালুটস্কি বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে এসেছেন। তাদের সফর নিয়ে ঢাকার রুশ দূতাবাস এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি বলেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালে তৎকালীন সোভিয়েত নৌ-বাহিনীর সদস্যরা চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে মাইন অপসারণে সহায়তা করেছিল। সেটা তুলে ধরতেই আমরা এখানে সংবাদ সম্মেলন করছি।
এ সময় সাংবাদিকরা রুশ মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আপনাদের প্রশ্নের উত্তরে বলতে চাই- বাংলাদেশকে নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে নামেনি রাশিয়া। তারা (পশ্চিমারা) কী করেছে আর কী করতে পারে, সেটা আমরা তুলে ধরেছি।
এ সময় রাশিয়ার নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য ভিটালি গুবেনকো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে রাশিয়া সহযোগিতা করতে পেরেছে বলে আমরা খুশি ও গর্বিত। আজকের প্রগতিশীল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আমরা নির্ভরযোগ্য অংশীদার হতে পেরেও আনন্দিত।
আমি ৫০ বছর পর এখানে এসে এক নতুন বাংলাদেশকে দেখছি। এখানে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এটা দেখে আমার খুব আনন্দ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ সময় ভিটালি গুবেনকো চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মাইন অপসারণের স্মৃতিচারণ করে বলেন, মাইন অপসারণের জন্য ১৯৭২ সালে আমি চট্টগ্রাম আসি। তখন কাজটি খুব কঠিন ছিল। দুই বছর অক্লান্ত চেষ্টার মাইন অপসারণ করা হয়। পরে বন্দর দিয়ে জাহাজ চলাচলও শুরু হয়। তখন স্থানীয় জনগণ খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ ছিলেন। তাদের কথা আমার স্মরণে আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।