জুমবাংলা ডেস্ক: সরকার থেকে নীতিগত সিদ্ধান্ত পেলেই খুব শিগগিরই দেশে প্রথমবারের মতো মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক চালু করার পরিকল্পনা করছে শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইসিএমএইচ) কর্তৃপক্ষ। খবর ইউএনবি’র।
ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘যেসব শিশুর মা থাকবে না, মা অসুস্থ, দুধ দিতে অক্ষম ও মায়ের দুধের উৎস না থাকলে সেসব মায়ের শিশুকে মাতৃদুগ্ধ ব্যাংকের মাধ্যমে দুধ দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক বা মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক স্থাপন করতে আমরা সব ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি করে ফেলেছি।’
ডা. মান্নান আরও বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম স্বাধীনতার মাসে ১ ডিসেম্বর মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক চালু করতে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিকের এটি উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু মন্ত্রী ব্যস্ত থাকায় উদ্বোধনের দিন তারিখ স্থগিত করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিগত সিদ্ধান্তের জন্য চিঠি পাঠানো হবে উল্লেখ করে আইসিএমএইচয়ের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত দিলে আমরা খুব শিগগিরই এটি চালু করব।’
তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যাতে কোনো প্রশ্নে না উঠে সে জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতামত নিতেও আমরা চিঠি দেব। তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছে যে তারা বিষয়টি নিয়ে ফতোয়া কমিটির সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে।’
তিনি জানান, প্রতিটি মায়ের কাছ থেকে সংগৃহীত দুধ আলাদা কন্টেইনারে জমা রাখা হবে এবং সেখানে দুধ দেড় বছর থাকলেও নষ্ট হবে না। ‘আমাদের দেশের তাপমাত্রা যদি সর্বোচ্চ ৩০০ এবং সর্বনিম্ন মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও হয়ে যায় তাহলেও দুধ নষ্ট হবে না।’
তিনি আরও জানান, যেসব মায়ের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করা হবে এবং যেসব মায়ের শিশুকে দুধ দেয়া হবে তাদের উভয়ের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ছবি রাখা হবে। মায়েরা স্বেচ্ছায় ও নিজ উদ্যোগে দুধ দেবেন আর যাদের দরকার পড়বে তাদের বিনামূল্যে দুধ দেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।