জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশে বর্তমানে এইডস রোগীর সংখ্যা আনুমানিক ১৪ হাজার বলে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম।
আজ রবিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এইডস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য জানান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, ‘১৯৮৯ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দেশে এইডস আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৩৭৪ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৩৪২ জন। ২০১৯ সালে দেশে ২৭ হাজার ১৬৮ জন সাধারণ মানুষের এইডস টেস্টিং ও ৪১ হাজার ৩০৯ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্য ৭৪ শতাংশ পুরুষ, ২৫ শতাংশ নারী ও ১ শতাংশ ট্রান্সজেন্ডার। ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের মধ্য এইডস আক্রান্তের হার বেশি। নতুন আক্রান্তদের ৬০৫ জন অর্থাৎ ৭৪.৪২ শতাংশ এই বয়সী। দেশে আনুমানিক এইডস রোগী ১৪ হাজার।’
তিনি আরো জানান, ২০১৯ সালে দেশে নতুন করে এইডস আক্রান্ত ৯১৯ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ১০৫ জন। দেশে বিবাহিতদের মধ্যে এইডস রোগীর সংখ্যা বেশি, ৫৮৭ জন। এছাড়া ১৭৫ জন সিঙ্গেল, ১৭ জন ডিভোর্স, ১০ জন বিধবা ও চার জন ভিন্নমতের। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে মারা গেছেন ১৭০ জন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক। তিনি বলেন, ‘বিশ্বে প্রায় ৪ কোটি এইডস রোগী রয়েছেন। সে তুলনায় বাংলাদেশে এইডস রোগীর হার দশমিক শূন্য এক শতাংশ। ওষুধ দেওয়ার যে কাভারেজ তাতেও বাংলাদেশ এগিয়ে। বিশ্বে ৫০ ভাগ ওষুধের কাভারেজ রয়েছে। আর আমাদের দেশে তা ৬১ ভাগ। তবে আমরা এতে সন্তুষ্ট না, আরও বাড়াতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সচেতনতা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।