জুমবাংলা ডেস্ক : উন্নত বিশ্বের বড় বড় ব্যাংকগুলোতে জাদুঘর দেখতে পাওয়া যায়। সেসব জাদুঘরে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রমের ইতিহাস, অর্থনীতির ইতিহাস ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা থাকে। এবার সেসব দেশের ব্যাংক মিউজিয়ামের আদলে বাংলাদেশেও যাত্রা শুরু করল জাদুঘর ‘এমটিবি মিউজিয়াম’। বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করেছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কার্যালয় ‘এমটিবি টাওয়ারে’ স্থাপিত জাদুঘরটির উদ্বোধন করেন এমটিবি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এমটিবির বর্তমান চেয়ারম্যান মো: হেদায়েতুল্লাহ, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও আনিস এ খান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডেজিগনেট) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ বিজনেস অফিসার সৈয়দ রফিকুল হক, নাট্যব্যক্তিত্ব ও এক্সপ্রেশন্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রামেন্দু মজুমদার, ঢাবি শিক্ষক ড. আযহারুল ইসলাম শেখ চঞ্চলসহ ব্যাংকের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১৯ পর্যন্ত গত ২০ বছরে এমটিবির পথচলা এবং অর্জনের ইতিহাস সংরক্ষণ করা হবে এই জাদুঘরে। প্রতিষ্ঠাকালীন বিভিন্ন সামগ্রী, পরিচালনা পর্ষদ, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, বার্ষিক সাধারণ সভা, বার্ষিক ব্যবসা সম্মেলন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, শাখা, বুথ, এটিএম, কিওস্ক, এয়ার লাউঞ্জ, প্রিভিলেজ সেন্টার, বিভিন্ন দেশের মুদ্রাসহ নানা বিষয় প্রদর্শিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও আনিস এ খান বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংক সবার জন্য খোলা থাকবে।
এ সময় এমটিবি টাওয়ারে পোড়ামাটির তৈরি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি টেরাকোটা উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া ‘মুজিব বর্ষ’কে সামনে রেখে ব্যাংকের ২০২০ সালের ক্যালেন্ডারও প্রকাশ করা হয়। যেখানে বঙ্গবন্ধুর জীবনের ১২টি মুহূর্তের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। ছবিগুলো দেশের ১২জন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী এঁকেছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বলেন, ইতিহাসকে সুন্দরভাবে ধরে রাখার জন্য এটা আমাদের ছোট্টা একটা চেষ্টা। এই তিনটা জিনিস আমাদের ব্যাংকের মাইলস্টোন। এটাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। এটা নিয়ে যেন আমরা গর্ববোধ করি, সেদিকটা স্মরণে রাখতে হবে সবসময়।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কোন দলের নয়। তিনি আমাদের জাতির পিতা। এটা সবসময় মনে রাখতে হবে। আর সেজন্যই আমরা চেষ্টা করেছি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কিছু করার। কেননা জাতির পিতার চেয়ে ভালো থিম আর কী হতে পারে! বঙ্গবন্ধু সাংঘাতিক প্রাউড পার্সন ছিলেন। তার একশতম জন্মদিনে এটা আমাদের সামান্য এটা প্রচেষ্টা যেটা আমরা জাতিকে উপহার দিতে পারলাম।
এমটিবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডেজিগনেট) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, একটা প্রতিষ্ঠানের জন্য ইতিহাস রক্ষা করাটা খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যারা থাকব চলে যাব, আবার যারা আসবেন তাদের জন্য কারা ছিলেন, কী করেছেন এই জিনিসগুলো রক্ষা করা খুব প্রয়োজন। জাতি হিসেবে আমরা অনেক কিছু ভুলে যাই। জাদুঘর সে বিষয়গুলো মনে রাখার জন্য আমাদের অনেক সাহায্য করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।