Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home বাংলাদেশে প্রাচীন গিরিখাতের সন্ধান
    বিভাগীয় সংবাদ সিলেট

    বাংলাদেশে প্রাচীন গিরিখাতের সন্ধান

    Shamim RezaJune 7, 20209 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের গভীর জঙ্গলের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সদ্য নামকরণকৃত শ্রীমঙ্গলের নৈস্বর্গিক স্বর্গ উদ্যানে পাওয়া গেছে হাজার বছর পূর্বে সৃষ্টি হওয়া প্রাচীন কয়েকটি গিরিখাত। যার একটিকে স্থানীয়রা নাম দিয়েছেন নিসর্গ, দ্বিতীয়টি উল্কা ও অন্যটি ব্যাকুল গিরিখাত।

    একই সাথে খুঁজে পাওয়া গেছে কয়েকটি ছোট ছোট জলপ্রপাত ও ঝর্ণা। সম্প্রতি পাহাড়ি এলাকায় পর্যটনের রিপোর্ট করতে গিয়ে এ প্রতিবেদকের ক্যামেরায় উঠে আসে পৃথক স্থানে ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য্যে এ গিরিখাত গুলোরচিত্র। যা বিশ্বের অনান্য গিরিখাতের চেয়ে আকর্শনীয়, অনেক সুন্দর ও রোমাঞ্চকর বলে জানান প্রকৃতিপ্রেমীরা।

    আর শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ‘এটি অবিকল গিরিখাতের মতো। এগুলোকে নেনো স্লট গিরিখাত বলা যেতে পারে। তবে দুর্গমতা ও এর প্রকৃতি রক্ষার স্বার্থে এই মুহূর্তে পর্যটকদের এখানে আসা ঠিক হবে না বলে জানান তিনি।’

    যেভাবে এটি পাওয়া যায়
    এক মাসেরও আগে শ্রীমঙ্গলে ক্ষুদ্র নৃ-ত্বাত্তিক জনগোষ্ঠীর শ্রীমঙ্গল উপজেলা সমন্বয়কারী তাজুল ইসলাম জাবেদ জানান, ‘শ্রীমঙ্গলের পাহাড়ের গভীর অরণ্যে খুব সুন্দর কিছু জায়গা রয়েছে। তিনি ক্ষুদ্র জাতি গোষ্টিকে নিয়ে কাজ করার সময় একবার গভীর জঙ্গলে গিয়ে তা দেখে তার কাছে খুব ভালো লাগে। বিষয়টি এ প্রতিবেদককে জানালে এবং ওই জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি সম্মত হন। দিন ঠিক করে প্রথম দিন মোটরসাইকেল নিয়ে পাহাড়ী এলাকা অতিক্রম করে সিন্দুরখান সীমান্তবর্তী ওই এলাকার সবচেয়ে কাছের জনপদে যাই। সেখান থেকে দুই আদিবাসী আমাদের সঙ্গী হন। আমাদের টিমে আরো দুইজনসহ মোট ৬ জন মিলে সেখানে রওয়ানা হই।

    তিনি বলেন, ‘প্রথমে উঁচু টিলা পরে পাহাড়ি নদী। স্থানীয়ভাবে পাহাড়ী ছড়া বলে। ছড়া দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যখন গভীর বনে প্রবেশ করি তখন বনের নিস্তব্ধতা অনুভুত হয়। দু’পাশে ঘন জঙ্গল। পথ প্রদর্শক দুই আদীবাসী বারবার বলছিলো সাবধান। এখানে সাপের ভয় রয়েছে। বিভিন্ন পোকাসহ অন্যান্য জীবজন্তুও মাঝে মধ্যে দেখা যায়। আমরা যত ভিতরের দিকে যাচ্ছিলাম ততই ঝির ঝির শব্দ বাড়ছিল। আর ছড়ার তলদেশে পায়ের নিচে এক সময় বালির পরিবর্তে পাওয়া যায় পাথর।

    ডানে-বায়ে বিভিন্ন স্থানে অনান্য জলপ্রাপাতের ন্যায় পাহাড়ের গা পাথরে পরিণত হয়েছে একটু একটু করে পানিও নিচে নেমে আসছে। বিভিন্ন স্থানে গাছও মরে পড়ে আছে। কোথাও কোথাও গাছের অংশ পানিতে থাকতে থাকতে ফসিল হয়ে গেছে। মাঝে মধ্যে পাখিরও ডাক শোনা যায়। চলার রাস্তাটা এতো রোমাঞ্চকর এর চার পাশ দেখতে দেখতে এবং ছবি উঠাতে উঠাতে অনেক সময় চলে যায় পথেই।

    হাঁটতে হাঁটতে এক সময় চোখে পড়ে গিরিখাত স্বদৃশ্য দু’দিকে পাথরের দেয়াল এবং এর তল দেশ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সরু পথের দিকে যেতে চাইলে গাইড বাধা দেয়। তারা বলে, এদিকে যাওয়া ঠিক হবেনা। সামনে মূল জায়গা যে জায়গা আমাদের দেখাতে নিয়ে এসেছেন।

    তাজুল ইসলাম জানান, আমি যেটা দেখাতে নিয়ে যাচ্ছি সেটা এরকমই আরো সুন্দর। এ সময় ধারণা হলো এটা গিরিখাতের শেষ অংশ। ছড়া থেকে উপরের দিকে উঠতে লাগলাম। এক সময় এই গিরিখাতের উপরে চলে যাই। সেখানে গাছ দিয়ে পাহাড়িরা গিরিখাত পার হওয়ার ব্যবস্থা করে রেখেছেন। গিরিখাত পাড় হয়ে একটি জঙ্গলাকৃত পাহাড় অতিক্রম করতে হবে। বৃষ্টিতে ভেজা মাটি। তার উপর লতা পাতা পড়ে সার হয়ে আছে ওই পাহাড়ের পদস্পর্শের অংশ। এটি অতিক্রম করতে অনেকটা ভয় করছিলো।

    তাজুল ইসলাম জানান, মুল জায়গা দেখতে হলে এটা অতিক্রম করতে হবে। এতো কষ্ট করে এসে সেটা দেখবো না তা মেনে নিতেও পারছিলাম না। শেষমেশ মনকে স্থির করলাম উপরওয়ালা ইচ্ছা জঙ্গলাকৃত এই পাহাড় অতিক্রম করে আমরা সেখানে যাবই। আদিবাসী দু’জন গেলেন না আমরা চারজন পাহাড় অতিক্রম করলাম। পাহাড়ের শেষ প্রান্তে যাওয়ার পর আমাদের চক্ষুতো ছানাবড়া! খাড়া পাথরে আবৃত নিচের অংশ। নিচের দিকে তাকালে অজানা ভয়ের সঞ্চার হয় মনে।

    তাজুল ইসলাম জানান, নিচে না নামলে ভালোভাবে দেখা যাবেনা। ক্যামেরায় ছবি তুলতে গেলে আলোর সংকট দেখা দেয়। নিচে যাওয়ার জন্য আগ্রহ বাড়ে। এক সময় খাড়া পাহারের পাথরের দেয়ালে ধরে ধরে আস্তে আস্তে আমরা নিচে নামি। আমরা যেখানে নামি এই স্থানটি একটু চওড়া। এর ডানে-বায়ে দুই পাশই সরু গিরিখাত। ঢালের দিকে প্রবাহমান পানি। আমরা যেখানে নামি এর বা দিকে ঢাল। উপরের দিকে গিরিখাতে গাছ ও ডাল পালা পড়ে তা কিছুটা ভরে গছে।

    পানি প্রবাহে পাহাড়ের গায়ে পাথরের কারুকাজের সৃষ্টি হয়েছে। দিনের বেলা হলেও ওই জায়গাটি বেশ অন্ধকার। আলো খুব কম পৌঁছায় সেখানে। সেখানে জীব জন্তু ও সাপের ভয়ের চেয়ে বড় ভয় হলো যে কোন সময় পানি প্রবাহ নেমে আসতে পারে। আর তখন দ্রুত উপরে না উঠতে পারলে নিশ্চিত বিপদ।

    আসার পথে আদিবাসী বাবু সুরং জানায়, ‘পানির স্রোতে সে নিজেও একবার মরতে মরতে বেঁচে গেছে।’

    আমাদের সঙ্গীয় অধ্যাপক রজত শুভ্র চক্রবর্তী জানান, ‘প্রকৃতির সবটুকু সৌন্দর্য্যই যেন এখানে আড়াআড়িভাবে দাঁড়িয়ে আছে।’

    জায়গাটির অবস্থান
    জায়গাটির অবস্থান ঢাকা থেকে প্রায় ২১৫ কিলোমিটার, মৌলভীবাজার জেলা শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে। যার অবস্থান ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী সিন্দুরখান ইউনিয়নের ঘন জঙ্গলাকৃত পাহাড়ী এলাকায়। প্রথমে জিপ বা মোটরসাইকেল নিয়ে তারপর পায়ে হেঁটে কয়েক কিলোমিটার। হাটার পথ পাহাড়ি ছড়া ও জঙ্গলাকৃত খাড়া পাহাড়।

    গিরিখাতের সৃষ্টি
    প্রাকৃতিকভাবে দুটি পাহাড়ের ঢালে জলধারা প্রবাহে মাটি ক্ষয় হয়ে গিরিখাতের সৃষ্টি হয়। আর হাজার হাজার বছর জলধারা প্রবাহিত হয়ে এর দু’পাশ খাড়া পাথরে পরিণত হয়। এই পানির ক্রমাগত ধারায় পাহাড়ের গায়ে সৃষ্টি হয় মনমাতানো কারোকাজ। যা দেখতে হুবুহু বিশ্বে আবিস্কৃত অনান্য গিরিখাতের মতো।

    গিরিখাত হিসেবে এটি আবিস্কারের পর গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য একটি নামের প্রয়োজন হয়। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিণ ও স্থানীয় বনবাসীদের সাথে আলাপ করে নামকরণ করে নিসর্গ গিরিধারা।

    গিরি শব্দের অর্থ পাহার বা পর্বত। আর ধারা হচ্ছে পর্বতের দেহ ক্ষত করে বয়ে চলা জলধারা বা পানি প্রবাহ। যা সৃষ্টি হয় পানি প্রবাহের ক্ষয়ষ্ণু প্রক্রিয়ায়। এই জলধারা কোথাও কোথাও সৃষ্টি করে জলপ্রপাত, কোথাও সৃষ্টি হয় ঝর্ণা। এই পানি প্রবাহের নিচের অংশকে পাহাড়ি ছড়া বলে আর ক্রমাগত নিচের অংশ পরিণত হয় নদীতে। আবার কখনও অধিকতর বড় ও স্রোতম্বী নদীতে গিয়ে পতিত হয়। তাই বলা যেতে পারে গিরিখাত নদীর ক্ষয় প্রক্রিয়ায়ও সৃষ্টি হয়।

    নিস্বর্গ গিরিধারার অনুভুতি
    নিস্বর্গ গিরিধারায় যাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য সেখানে যাওয়ার কোন রাস্তা নেই। সেখানে যেতে হবে পাহাড়ি ছড়ায় ও খাড়া পাহাড় বেয়ে। আর এর নিকটতম পাহাড়ি বাসিন্দা বিপ্লব পট নায়েক ও অতুল রাজভল্লব জানান, সেখানে যাওয়ার পথে রয়েছে সাপ ও জীবজন্তুর ভয়। মাঝেমধ্যে তারা মাছ ধরতে গেলে একসাথে কয়েকজন যান। দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে সেখানে যাওয়ার পর মনে হবে যেন অন্য কোন জগতে পৌঁছেছেন। দু’পাশে প্রায় শত ফুট উচ্চতার পাথরের দেয়াল, পানির ছলছল শব্দ এবং প্রকৃতির ঝির ঝির ডাক নিমিশেই ভুলিয়ে দেয় আপনার নিজের জগতের কথা।

    আর শুধু মূল জায়গা নয় এর যাওয়া পথটাও রোমাঞ্চকর। উপরে পাহাড়ের চূড়ায় ঘন জঙ্গল থাকায় সেখানে আলো পৌঁছায় খুবই কম। দিনের বেলায় থাকে সন্ধ্যার রুপ। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করলে আপনা-আপনি গাঁয়ে ঝিম ঝিম ভাব চলে আসে।

    উল্কা গিরিখাত
    একদিন করে অবসর নিয়ে টানা ১৫ দিন ভ্রমণে এই এলাকায় আবিস্কার হয় একাধিক গিরিখাত, ঝর্ণা ও ঝর্ণা সদৃশ্য জলপ্রপাত। পাহাড়িদের কাছ থেকে আমরা সন্ধান পাই, এই অরণ্যে এ রকম আরো জায়গা রয়েছে। দ্বিতীয় দিন আমরা যাই আরেকটি গিরিখাতের সন্ধানে। প্রথমদিন পাহাড়ি ছড়ার পানি পথে হাঁটতে হাঁটতে পা সাদা হয়ে গিয়েছিলো। আমরা জুতা রেখে গিয়েছিলাম। আর পাহাড় অতিক্রম করায় ওই দিন রাতে শরীরে বেশ ব্যাথা অনুভব হয়। তাই দ্বিতীয় দিন মোটর সাইকেল রেখে একটি জিপ গাড়ি নিই।

    জিপ গাড়িতে প্রথমদিন যে পাশে গিয়েছিলাম তার বিপরীত পাশের আরেকটি পাহাড়ি জনবসতিতে গিয়ে সেখানে গাড়ি রেখে হাঁটতে শুরু করি। তবে ওই দিন পায়ে জুতা পড়ে যাই। আবারও শুরু হলো হাঁটা, শেষ মাথায় গিয়ে প্রায় ৬শ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে ক্রমশ নিচে নামি। প্রথমে স্বাভাবিক ঢাল ছিলো পরে খাড়া ঢাল। খাড়া ঢালে পাহাড়িরা পা রাখার মতো ছোট ছোট কূপ করে রেখেছেন এই কূপগুলো পাথরে পরিণত হয়েছে।

    নিচের দিকে তাকালে ভয়ের সঞ্চার হলেও শেষমেষ নিরাপদে নামতে পারায় মনে আসে যেন বিজয়ের তৃপ্তি। আমাদের ওই দিনের টিমেও ছিলো দু’জন পাহাড়ি যুবক এবং আমরা ৪ জন। বা দিকে একটু সামনে এগুতেই আমরা প্রবেশ করি যেন সেই প্রস্তরযুগে। দু’পাশে খাড়া পাহাড় পাথরে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টি নেই তবুও অনবরত টোপ টোপ করে পানির বড় বড় ফোঁটা পাথরের গা থেকে নিচে পড়ছে।

    এটি নিস্বর্গ গিরি ধারার চেয়ে অনেকটা প্রশস্ত ও এর দু’পাশে পাহাড়ের উচ্চতাও অনেক। সূর্যের আলো এখানে লোকচুরি খেলে। একবারে নিচের বা ভিতরের অংশে সূর্যের আলো পৌঁছার সুযোগ নেই। যার সৌন্দর্য্য প্রাণকে আচমকাই ব্যাকুল করে তোলে। স্থানীয়রা এটিকে উল্কা বলে ডাকেন। তাই আমরাও এটিকে উল্কাগিরি খাত বলে অভিহিত করি।

    ব্যাকুল গিরি ও ঝর্ণা সদৃশ্য জলপ্রপাত
    পরবর্তী আরো ১২ দিনে তাজুল ইসলাম জাবেদকে সাথে নিয়ে এ অরণ্যের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়াই। আর ওই সময়ে এর ভিতরে খুঁজে পাই আরো বেশ কয়েকটি ঝর্ণা, ছোট ছোট জলপ্রাত ও মনকে ব্যাকুল করা আরো একটি গিরিখাত। যে গিরিখাতটির পাথরের গায়ে রয়েছে ছোট ছোট গর্ত। এর ভিতরেই সৃষ্টি হয়েছে একটি ছোট ঝর্ণা। যা দেখা মাত্র প্রকৃতির প্রতি মনটাকে ব্যাকুল করে তুলে।

    আমরা এই গিরিখাতটির নাম দেই ব্যাকুল প্রাণ গিরিখাত। এই গিরিখাত অতিক্রম করে আমরা আমরা বেশ কয়েকটি ছোট ছোট জলপ্রপাত দেখতে পাই। বড় একটি জলপ্রপাতের র পাশে তাজুল ইসলাম জাবেদ আবিস্কার করেন ছোট অসাধারণ সৌন্দর্যমণ্ডিত আরো একটি ঝর্ণা সদৃশ্য ছোট জলপ্রপাত। প্রায় এক ঘণ্টা মড়া ডাল পালা সরিয়ে এর পানি প্রবাহের সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করার পর এ থেকে প্রচুর বেগে পানি আসতে শুরু করে।

    গিরিখাত নিয়ে পাহাড়িদের কথা
    গিরিখাতগুলোর কোনটা এক কিলোমিটার কোনটা এর চেয়ে কম বলে জানান, স্থানীয় পাহাড়বাসী এডিসন তারিয়াং ও ফেরলি সুরং। এ সময় তারা বলেন, বহুবছর ধরে বংশানুক্রমিকভাবে তারা ওই এলাকায় বসবাস করছেন। এই গিরিগুলো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন স্থানে পড়েছে। সেখানে তাদেরও খুব একটা যাওয়া হয়না। আর সেখানে যাওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। নিচে নামলে হঠাৎ যদি উপর থেকে পানি নামে তাহলে কিছু কিছু জায়গা আছে খাড়া পাথরের পাহাড়। উপড়ে উঠার কোন পথ থাকেনা। এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে তারা বলেন, ‘গিরিখাত শব্দের সাথে তারা পরিচিত ছিলেন না। এটি যে গিরিখাতের সদৃশ্য তা তারা প্রথম জানলেন।’

    গিরিখাত নিয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ভাবনা
    শ্রীমঙ্গলে গিরিখাতের অবস্থান সর্ম্পকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি জানান, ‘বিষয়টি তার জানা নেই তবে তিনি তা দেখতে চান। পরে স্ত্রীসহ গিরিখাতদ্বয়ের একটিতে নিয়ে গেলে তিনি অসাধারণ সৌন্দর্যমণ্ডিত এ জায়গাটি দেখে অভিভূত হন।

    এটি পরিদর্শন করে তিনি জানান, এটি বিশ্বের অনান্য গিরিখাতের মতোই। এটিকে নেনো স্লট গিরিখাত বলা যেতে পারে। তিনি বলেন, আজ (ভ্রমণের দিন) থেকে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় পর্যটনের নতুন একটি দ্বার উন্মোচিত হলো। বাংলাদেশে এরকম গিরিখাতের সন্ধান এখন পর্যন্ত নেই। বিষয়টি তিনি সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে এবং পর্যটন কর্পোরেশনকে জানাবেন। যেহেতু এটি দুর্গম এলাকা রাস্তাঘাটও নেই সে ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি ব্যাতিরেখে এখানে পর্যটকদের আসা উচিৎ হবে না বলে তিনি জানান।

    জেলা প্রশাসকের কথা
    এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিনের সাথে যোগাযোগ করলে এবং উনাকে গিরিখাতের ছবি পাঠালে তিনি এটি দেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং খুব শ্রীঘ্রই এটি দেখতে যাবেন বলে জানান।

    এ সময় তিনি এর সুন্দর একটি নামকরণের ইচ্ছা পোষন করেন। তিনি বলেন, ‘প্রকৃতি নিয়ে কবি গুরু রবিন্দ্র নাথ ঠাকুরের দেয়া সুন্দর সুন্দর নাম রয়েছে। সেটা দেখে একটি নামকরণ করতে এবং নিসর্গ শব্দটি সংযুক্ত করতে। আমরা প্রথম আবিস্কৃত গিরিখাতের নামকরণ করি নিসর্গ গিরিখাত। কবি গুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর প্রকৃতিকে স্বর্গ উদ্যান বলে অভিহিত করেন। আর যেহেতু সবগুলো গিরিখাত ও ঝর্ণা এবং ঝর্ণা সদৃশ্য জলপ্রপাত প্রায় একই বনে পড়েছে, তাই এই বনাঞ্চলকে আমরা নামকরণ করি শ্রীমঙ্গলের “নৈস্বগিক স্বর্গ উদ্যান” বলে।

    পৃথিবীর অনান্য গিরিখাতের মতো সরকারের বা সংশ্লিষ্টদের অনুমতি নিয়ে এক সাথে সর্বোচ্চ ৪/৫জন করে দিনে নির্দিষ্ট পরিমাণে পর্যটককে সরকারের নিয়ন্ত্রণে তা দেখার সুযোগ করা যেতে পারে বলে অভিমত প্রকৃতি প্রেমীদের। তবে বনের বাহিরে যাতায়াতের রাস্তারও বেহাল দশা। বনের বাহিরের অংশ পর্যন্ত ৩টি কাঁচা রাস্তায় প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার অন্তত পাকাকরণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রকৃতি প্রেমীরা।

    সূত্র : একুশে টিভি অনলাইন

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    গিরিখাতের প্রাচীন বাংলাদেশে বিভাগীয় সন্ধান সংবাদ সিলেট
    Related Posts
    Feni-BNP

    হ্যান্ডকাফসহ পুলিশের কাছ থেকে পালালো সাবেক বিএনপি নেতা

    July 15, 2025
    ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড

    ২ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল ৪টি গ্রাম

    July 15, 2025
    Bird Fish

    কুয়াকাটায় ধরা পড়ল ৩টি পাখি মাছ

    July 15, 2025
    সর্বশেষ খবর
    নার্স

    নার্স পদে নিয়োগ দিচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, আবেদন শুরু

    সস্তায় বিদেশ ভ্রমণ

    সস্তায় বিদেশ ভ্রমণ: স্বপ্নকে সত্যি করার বিজ্ঞানসম্মত গাইড

    মামলা

    যত মামলা হয়েছে, মোকাবিলা করতে আপনার তো সারাজীবন কারাগারে কেটে যাবে: বিচারক

    স্মার্টফোন

    বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা বুক-স্টাইল ফোল্ডেবল স্মার্টফোন, ওজন মাত্র ২২৯ গ্রাম

    ডলারের দাম

    প্রবাসী ও রফতানি আয় বাড়ায় টাকার বিপরীতে কমেছে ডলারের দাম

    প্লাস্টিকের বোতল

    প্রতিদিন প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহারে আমাদের স্বাস্থ্যে যে ধরনের প্রভাব পড়ে

    টেসলা

    আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতে যাত্রা শুরু করলো টেসলা, মুম্বাইয়ে প্রথম শোরুম উদ্বোধন

    Saheb Bhattacharya video viral link

    Saheb Bhattacharya Viral Link: Why You Should Avoid Clicking on Suspicious Videos Circulating Online

    writwik mukherjee viral video

    Writwik Mukherjee Viral Video Sparks Online Ethics Debate: What You Need to Know

    Soudi

    মুদি দোকানে তামাক পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করলো সৌদি

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.