মোহাম্মদ আল আমিন : বাংলাদেশ ফুটবলের একাল-সেকাল নিয়ে যদি লিখতে যাওয়া হয় তবে দৃষ্টি বুলিয়ে নিতে হবে গত ৪০ বছরের দীর্ঘ একটা সময়ের উপর। এতে চোখে ধরা পড়বে অনেক কিছু। স্বাধীন বাংলাদেশের শুরুর সময়টাতে এ দেশে ক্রিকেটের চেয়েও অনেকগুন বেশি জনপ্রিয় ছিল ফুটবল। বিশেষ করে আবাহনী-মোহামেডানের দর্শক জনপ্রিয়তা ছিলো একটা দেখার মতো বিষয়। ৭০ কিংবা আশির দশকে মোহামেডান আবাহনীর খেলার সময় পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে পড়ত উত্তেজনা, আসলে তখনকার ফুটবলের জনপ্রিয়তা ছিলো তুঙ্গে। যা এখন কল্পনাও করা যায় না।
বাংলাদেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তা ও রমরমা অবস্থা ৯০ দশক পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। বলতেই হবে, ফুটবল বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ফুটবলারদের খেলার মান অনেকটাই পিছিয়ে।
এখনকার মতো আশির দশকেও খেলার মান উন্নত ছিলনা ঠিকই তবে জনপ্রিয়তার কমতি ছিল না। বিশ্লেষকরা বলে থাকেন, ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক অবস্থানে পৌঁছে যাওয়ার ফলে কতৃপক্ষের নজর ওইদিকে, ফুটবলের দিকে নজর দেওয়ার সময় নেই।
স্বাধীনতার পরপর ঢাকার শীর্ষ ক্লাব গুলো দেশের ভিতরে ও বিদেশে অনেক সফলতা পেয়েছিলো। মোহামেডান এবং আবাহনীর পাশাপাশি দেশের ছোট ক্লাবগুলোও বিদেশের মাটিতে দেখিয়েছে নজরকাড়া সাফল্য। এছাড়া জাতীয় দলের কাছে নেপাল, শ্রীলংকা, ভুটান ও মালদ্বীপ ছিলো হারের তালিকাতেই।
হংকং লীগে খেলা ছাড়াও বাংলাদেশের অনেক খেলোয়াড় সে সময় ভারতের ইস্ট বেঙ্গল, মোহন বাগান ও কলকাতার মোহামেডান ক্লাবে খেলেছিলেন খুব দাপটের সাথেই। এক্ষেত্রে কায়সার হামিদ, মোনেম মুন্না, সাব্বির ও রুমির নামও উল্লেখ্যযোগ্য। মুন্না তো রীতিমতো কলকাতার মাঠে সবার মনই জয় করে নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তা এখন শূন্যের কোঠায়। আর দর্শক জনপ্রিয়তা? সেইটা ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে বড় বড় ক্লাবের খেলায় মাঠের গ্যালারীর দিকে চোখ দিয়ে দেখলেই স্পষ্ট বুঝা যায়। বিনা পয়সাতে টিকেট দিলেও খেলার মাঠে দর্শকের দেখা মিলে না।
অথচ আগে মোহামেডান বা আবাহনীসহ ছোট ছোট ক্লাবের খেলাতেও গ্যালারী থাকতো কানায় কানায় ভরপুর। ওই সময় সাদা পোষাকের মোহামেডান এবং নীল পোষাকের আবাহনীর খেলা অনুষ্ঠিত হলে গ্যালারীতে রীতিমত হট্টোগোল লেগে যেতো। আর এখন সেই দু’দলের খেলাতেও গালারী ফাঁকা পড়ে থাকে।
ফুটবলপ্রেমীদের প্রশ্ন, ক্রিকেটের মতো ফুটবল বিশ্বকাপ কবে খেলবে বাংলাদেশ? বাংলাদেশে ফের কবে ফিরবে ফুটবলের জনপ্রিয়তা?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।