বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : বাংলাদেশে টেকনোলজির জগতে একটি নতুন যুগের সূচনা হলো। ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংক দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। এটি শুধু শহরাঞ্চলের জন্য নয়, দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দেবে। স্থানীয় জনগণের কাছে ৪২০০ টাকা মাসিক খরচে উপলব্ধ সেবা তারুণ্যের নতুন আশা দেখাচ্ছে। দেশের সকল স্থানে বসবাসরত মানুষই এখন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইনে আরো সহজে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন।
Table of Contents
স্টারলিংক: উচ্চগতির ইন্টারনেটের নতুন অধ্যায়
স্টারলিংক বাংলাদেশে দুই ধরনের রেসিডেনশিয়াল প্যাকেজ নিয়ে এসেছে।
- স্টারলিংক রেসিডেন্স: মাসিক খরচ ৬০০০ টাকা।
- স্টারলিংক রেসিডেন্স লাইট: মাসিক খরচ ৪২০০ টাকা।
এক্ষেত্রে জানা গেছে, স্টারলিংক ব্যবহারকারীরা প্ল্যান অনুযায়ী আনলিমিটেড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, এই সেবার জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে এককালীন ৪৭ হাজার টাকার ডিভাইস চার্জ নেওয়া হবে, যেখানে থাকবে স্যাটেলাইট ডিশ, রাউটার এবং একটি সংযোগ তার। স্টারলিংক সার্ভিসে গ্রাহকরা সপ্তাহের ৭ দিন, মাসের ৩০ দিনই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। অধিকন্তু, সপ্তাহে প্রায় ৩০০ Mbps পর্যন্ত গতিতে ইন্টারনেট পাওয়ার সুযোগ থাকবে যা বিশেষভাবে গ্রামীণ ও দুর্গম এলাকাগুলোর জন্য এক বিশাল পরিবর্তন হতে চলেছে।
প্রযুক্তির সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশের এমন কিছু এলাকায় চলছে ফাইবার অপটিক বা ফিক্সড ব্রডব্যান্ড পরিষেবা, যেখানে স্টারলিংক ব্যবহারকারীরা নতুন সুযোগ উপভোগ করবেন। বিশেষ করে পাহাড়, চর এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে স্টারলিংকের মাধ্যমে ইন্টারনেট পৌঁছাবে, যা এখন অবধি অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, ষ্টারলিংক প্রযুক্তি হবে পুরো দেশের ডিজিটাল বৈষম্য কমানোর একটি অত্যন্ত কার্যকর উপায়। তবে, এটি সব ধরনের ব্যবহারকারীর জন্য সঠিকভাবে কার্যকর হবে বলে মনে হচ্ছে না। যারা অধিকার হিসাবে রিমোট লোকেশনন’বৈকাল (Rimot Location) বা ব্যাকআপ কানেকশন খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি হতে পারে সমাধানের আকর্ষণীয় পথ।
স্টারলিংকের সার্থকতা নির্ভর করবে পরিষেবাটির বাস্তবায়ন ও ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতার ওপর। প্রযুক্তির এই বড় উদ্যোগ অনুসারে, বাংলাদেশের স্থানীয় জনগণের জন্য এটি একটি বড় ধরনের প্রকল্প।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশের গ্রামীণ মানবসম্পদকে উদ্দীপিত করার জন্য স্টারলিংক একটি অত্যাবশ্যক পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে অনেকেই নতুন সম্ভাবনায় নিজেদের যুক্ত করতে পারবেন। এছাড়া, শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করতে পারবে, এবং ছোট ব্যবসাগুলোর জন্য নতুন বাজারে প্রবেশের সুযোগ তৈরি হবে।
অর্ডার করার প্রক্রিয়া খুব সহজ, ব্যবহারকারীরা নির্বাচিত প্যাকেজের জন্য স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারেন। সম্ভাব্য গ্রাহকরা স্থানীয় প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সংযোগের জন্য অনুরোধও করতে পারবেন।
সরকারী সূত্র অনুযায়ী, এই উদ্যোগটি দেশের ডিজিটাল বিপ্লবকে এক নতুন মাত্রা দিতে পারে। বাংলাদেশে ইন্টারনেটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে, নতুন প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আইনগত ও বিধিমালা সংক্রান্ত ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার ও স্টারলিংক একটি সংযুক্ত পরিকল্পনা তৈরি করেছে যাতে স্টারলিংক সার্ভিসে ব্যাপক কার্যকরীতা পাওয়া যায়। এটি নিশ্চিত করবে যে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বজায় থাকবে।
ফোল্ডেবল ফোন: আধুনিক প্রযুক্তির আসন্ন পরিবর্তন এবং কেন কিনবেন?
FAQs
Q1: স্টারলিংক ইন্টারনেট বাংলাদেশের কোথায় পাওয়া যাবে?
A1: স্টারলিংক অভ্যন্তরীণ ও দুর্গম অঞ্চলগুলোতে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করবে। গ্রাহকরা স্টারলিংক ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারবে।
Q2: মাসিক খরচ কত?
A2: স্টারলিংক রেসিডেন্স লাইট প্যাকেজের খরচ ৪২০০ টাকা এবং স্টারলিংক রেসিডেন্স প্যাকেজের খরচ ৬০০০ টাকা।
Q3: কোন ডিভাইসগুলোর জন্য কত চার্জ লাগবে?
A3: স্টারলিংক সেবা গ্রহণের জন্য গ্রাহকদের ৪৭ হাজার টাকা এককালীন খরচসহ বিভিন্ন ডিভাইস কিনতে হবে।
Q4: ইন্টারনেটের গতি কত?
A4: স্টারলিংক পরিষেবায় গ্রাহকেরা সর্বোচ্চ ৩০০ Mbps পর্যন্ত স্পীড পাবে।
Q5: কোন সাইটে গিয়ে পরিষেবা নিতে হবে?
A5: গ্রাহকরা দলিলকৃত তথ্যসহ starlink.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
Q6: এই প্রযুক্তিটি কতটা কার্যকর হবে?
A6: প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, স্টারলিংক বাংলাদেশ সহ অনেক এলাকার জন্য ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।