জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নবম বার্ষিক নিরাপত্তা সংলাপে অংশ নিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-সামরিক বিভাগের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেজনিক।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক্স প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে এমন তথ্য দিয়েছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে মুক্ত, অবারিত এবং শান্তিপূর্ণ রাখা নিয়ে একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেজনিককে স্বাগতম। তিনি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সংলাপের জন্য ঢাকায় এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল আঞ্চলিক উন্নয়ন, মানবাধিকার, নিরাপত্তা সহায়তা এবং সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে আলোচনা করবে।
আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় নবম বার্ষিক যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সংলাপের আয়োজন করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ। সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকবেন রাজনৈতিক সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেসনিক।
অন্যদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকাস অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।
নিরাপত্তা সংলাপ একটি বার্ষিক, বেসামরিক আয়োজন, যেখানে নিরাপত্তা সম্পর্কের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। উভয়পক্ষের প্রতিনিধিরা ইন্দো-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সমস্যা, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার, সামরিক সহযোগিতা, শান্তিরক্ষা, নিরাপত্তা সহায়তা, এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আলোচনা করবেন। এ সংলাপ দুই সরকারের মধ্যকার সর্বাঙ্গীন নিরাপত্তা সম্পর্কের অংশ।
যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিষয়ক অংশীদারত্ব অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে দুটি দেশের স্বার্থও অভিন্ন। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে মুক্ত, অবারিত, শান্তিপূর্ণ এবং সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে দেশ দুটির দৃষ্টিভঙ্গি একই ধরনের। এই পারস্পরিক লক্ষ্যগুলো অর্জনে সারাবছর বিভিন্ন ধরনের সংলাপ আয়োজিত হয়।
এ বছরের নিরাপত্তা সংলাপটি ঢাকায় ২৩ এবং ২৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপের খুব কাছাকাছি সময়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশি সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বেসামরিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
তারা সামরিক সম্পর্কের জন্য সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, যেমন সামরিক শিক্ষা, শান্তিরক্ষা এবং আগামী বছরের দুর্যোগে সাড়াপ্রদান বিষয়ক অনুশীলন এবং বিনিময়সহ আসন্ন সামরিক মহড়া নিয়ে আলোচনা করেন।
গত বছর এপ্রিলে ওয়াশিংটনে দুই দেশের মধ্যে অষ্টম নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের নবম বার্ষিক নিরাপত্তা সংলাপ মঙ্গলবার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।