জুমবাংলা ডেস্ক: জাতীয় সংসদে আজ ‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বিল-২০২২’ পাস হয়েছে।
বিলটি আজ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন।
জাদুঘরের কোনো নিদর্শন ধ্বংস বা ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদন্ডের বিধান রেখে এই বিলটি পাস হয়েছে। আর অস্থাবর নিদর্শন চুরি, পাচার, ধ্বংস, নষ্ট, পরিবর্তন বা ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর বিলটি সংসদে তোলার পর পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮৩ সালের এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ বাতিল করে তার জায়গায় নতুন এ আইন হচ্ছে। জাদুঘরের জন্য একজন কিউরেটর ও সহকারী কিউরেটর রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বিদ্যমান অধ্যাদেশে ছিল না।
জাদুঘরের স্থাবর নিদর্শন ধ্বংস বা ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদন্ড বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে বিলে।
বিলে বলা হয়, সরকারের অনুমোদন নিয়ে বিভাগীয় ও জেলা শহর ছাড়া যে কোনো জায়গায় শাখা জাদুঘর, বিষয়ভিত্তিক জাদুঘর, স্মৃতি জাদুঘর, সংগ্রশালা, গবেষণা কেন্দ্র, মহাফেজখানা স্থাপন ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে জাতীয় জাদুঘর। কেউ জাদুঘরের নিদর্শনের ওপর খোদাই করলে বা কিছু লিখলে সর্বোচ্চ এক বছরের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হবে।
জাদুঘরের পরিচালনায় সংস্কৃতিমন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রীকে সভাপতি করে একটি পরিচালনা পর্ষদের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সরকার আগের মতই জাদুঘরের জন্য একজন মহাপরিচালক নিয়োগ করবে। বিলে ‘ভার্চুয়াল জাদুঘর’ করার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া দেশের বাইরে এবং ঢাকার বাইরে প্রদর্শনী করার সুযোগ থাকছে। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।