অর্থনৈতিক ডেস্ক : বাংলাদেশ থেকে ১৭০০ কোটি টাকা পাচারের নেপথ্যে রয়েছে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। তারা বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার করে আসতো। এ ধরণের অপরাধে জড়িত ৬৫ ব্যক্তি ও তিন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলার অনুমতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এর মধ্যে ছয়টি প্রতিষ্ঠান ও তাদের অর্থ পাচারের পরিমাণ হলো হেনান আনহুই এগ্রো এলসি ৪৪০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, এগ্রো বিডি অ্যান্ড জেপি ৪৩৩ কোটি ৬২ লাখ, রূপালী কম্পোজিট লেদাওয়্যার লিমিটেড ৩৭৮ কোটি ৯ লাখ, হেব্রো বাঙ্কো ২৯২ কোটি ২৩ লাখ, এসবি এক্সিম বাংলাদেশ ৯২ কোটি ১০ লাখ ও আইমান টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি লিমিটেড ৪৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর মধ্যে হেনান আনহুই এগ্রো এলসির ১১ জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে ছয়টি বিল অব এন্ট্রি অনুযায়ী, পৃথক ছয়টি মামলা করার অনুমতি দিয়েছে এনবিআর। ছয়টি বিল অব এন্ট্রি অনুযায়ী চারটি মামলায় পৃথক ৬৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ও দুটি মামলায় পৃথক ৮২ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এফওসি সুবিধা ব্যবহার করে পোশাক খাতের ৯ প্রতিষ্ঠান অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা। এসব প্রতিষ্ঠানের মামলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলোÑআসিয়ানা গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, লিলাক ফ্যাশনওয়্যার লিমিটেড, মিশওয়ার হোসিয়ারি মিলস প্রাইভেট লিমিটেড, অ্যাপারেল অপশনস প্রাইভেট লিমিটেড, ফ্যাশন ক্রিয়েট লিমিটেড, ডি কে অ্যাপারেলস লিমিটেড, ক্যাপরি অ্যাপারেলস লিমিটেড, সাদ ফ্যাশনস ওয়্যার লিমিটেড ও নাব ফ্যাশন লিমিটেড। ৯টি প্রতিষ্ঠান মোট ২৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩৪৩ দশমিক ২৩ মার্কিন ডলার পাচার করেছে। ৯ প্রতিষ্ঠানের ২৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ১০টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।