জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির বর্তমান সভাপতিকে বহিষ্কার করে নতুন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযােদ্ধা তৌফিক এহেসান।
আরও উপস্থিত ছিলেন- দোকান মালিক সমিতির সহসভাপতি আবুল কাশেম খান ঝন্টু, নাজমুল হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, মীর রফিকুল ইসলাম বিলু, মাে. ফরহাদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা) মাে. আরিফুর রহমান টিপু, সহ সাধারণ সম্পাদক শাহ কামাল চৌধুরী বাবুল, জুয়েল আহমেদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ সদস্যবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে তৌফিক এহেসান বলেন, দোকান মালিক সমিতি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটি শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন। ব্যবসায়ীদের সমস্যা নিরসন ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণকর কাজে অংশগ্রহণ এ সংগঠনের মূল লক্ষ্য। কিন্তু বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি পদবির অপব্যবহার করে মাে. হেলাল উদ্দিন ও তার মুষ্টিমেয় অনুসারী কয়েকজন সদস্যদের নিয়ে একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সমিতিকে এককেন্দ্রিক সংগঠন বানিয়ে রেখে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সে গত ৪ বছর ধরে নির্বাচন ছাড়াই সভাপতির পদ দখল করে রেখে আমাদের এ ব্যবসায়ীদের প্রাণের সংগঠনটিকে অন্যান্য সংগঠনের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করছেন। সে ঠিক একই কায়দায় এর আগে ২৫ বছর ধরে ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির সভাপতির পদ দখল করে নিজ স্বার্থ হাসিল করেছেন। ২৯ বছর ধরে যদি একজন ব্যক্তি ক্ষমতা ধরে রাখে তাহলে তার দ্বারা ব্যবসায়ীরা কি আশা করতে পারে? একজন ব্যক্তিকেন্দ্রিক একটি ব্যবসায়ী সংগঠন জিম্মি থাকলে সে সংগঠন দ্বারা ব্যবসায়ীদের কোনো উন্নতি আশা করা যায় না এবং পরবর্তী নেতৃত্বও পাওয়া যায় না।
দোকান মালিক সমিতির গঠনতন্ত্র এবং ডিটিও নির্বাচনী বিধি মােতাবেক যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, সে বিগত ২০১৪-২০১৬ মেয়াদের প্রকৃত ভােটারদের ভােটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করে, নিজস্ব অবৈধ ভােটার বানিয়ে একতরফা ও অসাংবিধানিকভাবে নিজস্ব লােক দ্বারা ভােটার তালিকা তৈরি করে নির্বাচনী বিধিমালা উপেক্ষা করে নির্বাচন বর্হিভূত সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি ঘােষণা করেন। তার নিজস্বভাবে তৈরি ২০১৯-২০২১ মেয়াদের অনেক ভােটারই অবৈধ এবং সঠিক নয়। যাহা সম্পূর্ণ অসাংগঠনিক ও গঠনতন্ত্র বিরােধী। এছাড়াও সে সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের নিয়ে আলাপ আলােচনা না করে এককভাবে বিভিন্ন জেলা কমিটি গঠন করেছেন। যার ফলে দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সদস্যদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
দোকান মালিক সমিতির কার্যকরী পরিষদের সহ সভাপতির পদ নির্ধারিত থাকা সত্ত্বেও, সে একক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিধিমালা উপেক্ষা করে অতিরিক্ত পদ-পদবি বন্টন করেন। যাহা দোকান মালিক সমিতির সদস্যদের জন্য হুমকি সরূপ এবং যার কারণে ভবিষ্যতে দোকান মালিক সমিতি নেতৃত্বহীন হয়ে পড়বে এবং যােগ্য নেতৃত্ব থেকে সংগঠনটি বঞ্চিত হবে।
দোকান মালিক সমিতির বর্তমান সভাপতির সকল কার্যক্রম স্থগিত করে একটি সুস্থ, সুন্দর, স্বচ্ছ ভােটার তালিকা তৈরি করে গ্রহণযােগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের সকল দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের একটি জাতীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ উপহার দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এবং সর্বশেষ সভায়-মাে. হেলাল উদ্দিন হেলালের সমস্ত সাংগঠনিক কার্যক্রম অবৈধ ঘােষণা করে তাকে বয়কটসহ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।