জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ছাড়াও দু’দেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ ও বিমান চলাচল শুরু এবং একটি অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার।
যে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে তার একটি হলো দু’দেশের মধ্যে মৎস্য ও সামুদ্রিক সম্পদ আহরনে সহায়তা নিয়ে।
মৎস্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মাহবুবা পান্না বলেছেন, সমঝোতা অনুযায়ী বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রে টুনা জাতীয় মাছ নিয়ে একটি এসেসমেন্ট হবে এবং মালদ্বীপ তাতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, এসেস করে দেখা হবে যে এখানে এ ধরনের মাছের বিচরণ কেমন এবং সেটি আহরন বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হবে কিনা। পাশাপাশি দু’দেশ যৌথভাবে গবেষণা করবে। আর বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় একোয়াকালচার নিয়েও মালদ্বীপ সহায়তা করবে।
তিনি জানান, অবৈধভাবে সমুদ্রে মাছ ধরার সমস্যা মোকাবেলায় দু দেশ পরস্পরকে সহায়তা করবে এবং একই সাথে গভীর সমুদ্রে কোন ধরনের নৌযান মাছ ধরার বেশি সুবিধাজনক তা নিয়েও বাংলাদেশকে সহায়তা করবে মালদ্বীপ।
মাহবুবা পান্না বলেন, তবে সব বিষয়েই আলোচনা যখন এগুবে তখন আলাদা করে চুক্তি করে কাজ করতে হবে। এখন সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে সেই কাজ এবং দু’দেশের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরির একটি সুযোগ তৈরি হলো।
ওদিকে শীর্ষ বৈঠকের বিষয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ ও বিমান চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর বাইরেও যে সমঝোতা স্মারকগুলো স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলো হলো সমন্বিত সহযোগিতার লক্ষ্যে যৌথ কমিশন (জেসিসি), দ্বিপাক্ষিক ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) ওপর সমঝোতা স্মারক, মৎস্য ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক এবং ২০২২-২০২৫ পর্যন্ত সাংস্কৃতিক বিনিময়ে জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বুধবার সকালে সস্ত্রীক ঢাকায় আসা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।
এদিকে এই শীর্ষ বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুটিও এসেছে যেখানে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে, রোহিঙ্গাদের অধিকার সুরক্ষায় তারাও আন্তর্জাতিক আদালতে বাংলাদেশের সাথে একযোগে কাজ করতে চান।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ওই বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে গণমাধ্যমকে যা জানানো হয়েছে তাতে বলা হয়েছে যে দুই দেশ নিজেদের মধ্যকার ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছে।
মূলত বাংলাদেশের তরফ থেকে প্রস্তাবটি দেয়ার পর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নিকট ভবিষ্যতে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।