বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট মানেই ক্রিকেট আস্ট্রেলিয়ার অন্যরকম ঝাঁজ। যা তাদেরকে সব ফরম্যাটের মেগা আসরেই একক আধিপত্য এনে দিয়েছে। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দারুণ ফর্মে ‘মাইটি’ অজি বাহিনী। সুপার এইটে তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। তার আগেই মিচেল মার্শরা দলের শক্তি বাড়িয়েছেন।
মূলত এই শক্তির মূল নিয়ামক মার্শ নিজেই। অজি অধিনায়ক সর্বশেষ আইপিএলের মাঝপথে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন। যার জন্য সতর্কতা হিসেবে ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর তো ছাড়েনই, এমনি জাতীয় দলে ফেরার পরও ছিলেন কেবল ব্যাটারের ভূমিকায়৷ এবার তিনি বোলিংয়ের জন্যও পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠেছেন। যা বাংলাদেশ ম্যাচের আগে অজি বোলিংয়ে বাড়তি অপশন যোগ করল।
বোলিংয়ের জন্য পুরো প্রস্তুত বলে নিজেই জানিয়েছেন মার্শ। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে আমাকে বোলিংয়েও পুরোপুরি পাওয়া যাবে। যদিও আমাদের দলের যে শক্ত লাইনআপ আমার বল করার প্রয়োজন হয় না সেভাবে। তবে আমি মনে করি এই ফরম্যাটে বাড়তি অপশন থাকা জরুরি এবং আনন্দের বিষয় আমাদের হাতে এমন বিকল্প অনেক।’
‘শারিরীকভাবে আমি ভালো বোধ করছি। মাঝেমধ্যে বোলিং থেকে বিরতিতে যাওয়া ভালো কিছু এবং এটি নিয়ে আমি প্রায়ই মজা করি। কিন্তু স্টয়েন (মার্কাস স্টয়নিস) ও আমি অলরাউন্ড পারফর্ম নিয়ে কথা বলি, আমরা এই ভূমিকায় ম্যাচ খেলতেও পছন্দ করি’, আরও যোগ করেন অজি অধিনায়ক। গ্রুপপর্বে অস্ট্রেলিয়া চার ম্যাচে অপরাজিত থেকেই সুপার এইটে উঠেছে। যেখানে দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেডের পর মিডল অর্ডারে ভরসা হয়ে উঠেছেন স্টয়নিস। বল–ব্যাট উভয়দিক থেকেই তিনি অজিদের হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে ধারাবাহিক।
অন্যদিকে, ব্যাট হাতে ধুঁকছেন গ্লেন ম্যাক্সয়েল। তিনি শিগগিরই রানে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী। মার্শও সেভাবে এখন পর্যন্ত চলতি আসরে কিছু করে দেখাতে পারেননি। দুজন (ম্যাক্সওয়েল-মার্শ) মিলে সাত ইনিংসে করেছেন মোটে ৬৩ রান। এ নিয়ে ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘আমার ও মার্শের ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাস আছে, যা আমরা ইংল্যান্ড ম্যাচ থেকে পেয়েছি। যদিও ইনিংস বড় করতে পারিনি, তবে লোয়ার অর্ডার পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করছি। ওপেনাররা ওভারপ্রতি ১২-১৩ তোলার পর সেটিকে টেনে নেওয়ার দায়িত্ব মিডল অর্ডারের। তবে আমরা সেভাবে তাতে সঙ্গ দিতে পারছি না, উইকেট দিয়ে আসছি। মার্শ দারুণ খেলছে গত কয়েক বছর, সে এবং আমি জানি কিভাবে আগের রিদমে ফেরা যায়।’
টাইগারদের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ আগামীকাল (শুক্রবার) বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায়। মার্শ বোলিংয়ে ফিরলে হয়তো একাদশে পরিবর্তন আনবে অজিরা, তাতে বাদ অ্যাশটন আগার বাদ পড়বেন এবং ম্যাক্সওয়েল থাকবেন পার্টটাইম স্পিনারের ভূমিকায়। সঙ্গে উইকেটটেকার বোলার অ্যাডাম জাম্পা তো আছেন-ই। আবার আগের ম্যাচে বিশ্রামে থাকা প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউড ফিরলে একাদশ হবে আরও শক্তিশালী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।