এম আব্দুল মান্নান: জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মৎস্য হাসপাতালের আয়োজনে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) রচনা লিখন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ মৎস্য হাসপাতালের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসিং এন্ড পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বাংলাদেশ মৎস্য হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো: মাসুদ রানা পলাশ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ মৎস্য হাসপাতালের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ও মৎস্য হাসপাতালের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপদেষ্টা ও সাবেক ওয়েটল্যান্ড বায়োডাইভারসিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রকল্প পরিচালক মোঃ আবুল হাশেম সুমন, উপদেষ্টা ও ফিশটেক হ্যাচারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ তারেক সরকার এবং ট্রেজারার ও শেকৃবির সহকারী অধ্যাপক মারুফা আক্তার।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মৎস্য হাসপাতলের চেয়ারম্যান ও শেকৃবির সহকারী অধ্যাপক মো: মাসুদ রানা পলাশ তার স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ মৎস্য হাসপাতালের পরিচিতি ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, “মাছ আপনার, সেবার দায়িত্ব আমাদের” এই স্লোগান কে সামনে রেখে ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ মৎস হাসপাতাল। মৎস্য অধিদপ্তরের সাথে মাছ চাষীদের পাশে থেকে তাদেরকে মাছ চাষের আধুনিক কলাকৌশল সংক্রান্ত সঠিক শিক্ষা দেওয়া, মাছের রোগ বালাই নিরসনে সহযোগিতা করাসহ মাছ চাষীদের নানারকম সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ মৎস্য হাসপাতাল কাজ করে থাকে। তিনি মাছ চাষে গবেষণার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করেন এবং প্রান্তিক পর্যায়ে মাছ চাষে সমৃদ্ধ করে দেশে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর প্রতি জোর দেন।
অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব তার বক্তব্যে বলেন, দেশের প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টি চাহিদার বড় অংশ আসে মাছ থেকে। মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে। দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যবিমোচন ও রপ্তানি আয়ে মৎস্য খাতের অবদান আজ সর্বজনস্বীকৃত। দেশের মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশেরও বেশি অর্থাৎ প্রায় ২ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করছে। আমি মনে করি, মৎস্যখাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাংলাদেশ মৎস্য হাসপাতাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যার মাধ্যমে মাছ চাষী, হ্যাচারি ও এর সাথে জড়িত সকলেই উপকৃত হতে পারবেন।
আলোচনা শেষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার, ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
মাছ তো নয়, যেন আস্ত একটি দৈত্য, তিন টন ওজনের বনি ফিশ ধরলো জেলে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।