জুমবাংলা ডেস্ক : সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগে ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে কারিগরি বিষয় নিয়ে কাজ চলছে। বাংলাদেশের কারিগরি দলের সঙ্গে এখন এ নিয়ে বৈঠক করা হবে বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের এক মন্ত্রী।
রিয়াদে অবস্থানরত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠকে কারখানা স্থাপনের অগ্রগতির বিষয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানিমন্ত্রী মোহাম্মদ আল ইব্রাহিম।
সৌদি সহকারী জ্বালানি মন্ত্রীর দপ্তরে মঙ্গলবার এ বৈঠক হয় বলে উপদেষ্টার জনসংযোগ দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বৈঠকে সৌদি মন্ত্রী উপদেষ্টা সালমান রহমানকে বলেন, তার দেশের সরকার বিলম্বিত অর্থপ্রদান পদ্ধতিতে অপরিশোধিত তেল কেনার বাংলাদেশের প্রস্তাব সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে।
মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশটি বাংলাদেশকে তাদের জ্বালানি সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলেও সহকারী জ্বালানিমন্ত্রী মোহাম্মদ আল ইব্রাহিম বৈঠকে বলেছেন।
এ সময় তারা দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারিত্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
সৌদি সহকারী মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তারা এখন কারিগরি বিষয় নিয়ে কাজ করছেন এবং বাংলাদেশের কারিগরি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বৈঠকে তারা ডিএপি সার কারখানা স্থাপন নিয়েও আলোচনা করেন।
উভয় দেশ যৌথ বিনিয়োগে তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে একটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনে বেশ কিছু দিন থেকে আলোচনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। গত ৭ ফ্রেব্রুয়ারি সৌদি আরব সফর শেষে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে সালমান রহমান সেখানে এ সার কারখানা করার অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরে বলেছিলেন, সৌদি আরবে যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত সেই কারখানা থেকে শতভাগ সার বাংলাদেশ আমদানি করে নিয়ে আসবে।
এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে একটি ডিএপি সার কারখানা স্থাপনের জন্য ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সৌদি একটি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছিল বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।
উপদেষ্টা সালমান রহমান রিয়াদে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ সভায় যোগ দিতে সেখানে রয়েছেন। ওই সভা শেষে তিনি সৌদি মন্ত্রীর পাশাপাশি কর্মকর্তাদের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
একই দিন উপদেষ্টা সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) চিফ অব স্টাফ ও বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের মহাসচিব সাদ আল কোরডের সঙ্গে বৈঠক করেন৷
এসময় পিআইএফ মহাসচিব উপদেষ্টাকে তার কার্যালয়ে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালে সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের (আরএসজিটি) বিনিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ৮০টি সৌদি কোম্পানির তালিকা হস্তান্তর করেন এবং পিআইএফ তাদের কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক যাত্রায় যোগ দেবে বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।