বাংলা কার
এক হাজার ৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ পরিকল্পনা নিয়ে ‘বাংলা কার’ তৈরি শুরু করেছে হোসেন গ্রুপ৷ মে মাস থেকে তারা উৎপাদনে গেছে৷ ওয়্যার হাউজ সুবিধা পেলে বছরে পাঁচ হাজার গাড়ি তৈরির পরিকল্পনা আছে তাদের৷ আর এই গাড়ি তারা দেশের বাইরেও রপ্তানি করবে৷
নিজস্ব নকশায় গাড়ি তৈরি করছে হোসেন গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘বাংলা কারস লিমিটেড’। নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটিতে ইতোমধ্যে দেড় শতাধিক গাড়ি তৈরি করে সেগুলো বিক্রিও করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যে গাড়িগুলোর ইঞ্জিনে লেখা ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’। অচিরেই রফতানি হবে বিশ্বের বড় বড় শহরে। আর দেশের বাজারে আট লাখ টাকা দামের বাংলা কার বিক্রি শুরু হবে আগামী বছরের শেষের দিকে।
জাপান, ইন্দোনেশিয়া, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার কারিগরি সহায়তায় দেশে গাড়ি তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি। ৮ থেকে ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম পড়বে প্রতিটি গাড়ির। থাকবে ৫ বছর বা ১ লাখ কিলোমিটারের ওয়ারেন্টি।
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সব ধরনের আধুনিক সুবিধা নিয়ে বাজারে আসছে দেশীয় ব্র্যান্ডের প্রথম গাড়ি। ৩০ লাখ টাকায় মিলবে সাত আসনের এ এসইউভি গাড়িটি।
হোসেন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘বাংলা কারস লিমিটেড’। এই কোম্পানির তৈরি করা গড়িতে প্রথমবারের মতো ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা থাকবে। কোটি টাকা খরচে মার্সিডিজ-বিএমডব্লিউর গাড়ি ব্যবহারকারীরা যেসব সুবিধা পান বাংলা গাড়িতে ৩০ লাখ টাকায় মিলবে সেসব সুবিধা।
বাংলা কারস তৈরি করছে ১২ ধরনের গাড়ি। এর মধ্যে থাকছে জিপ, প্রাইভেট কার, বাস, মিনিবাস, পিকআপ, লরি ও ট্রাক।
কেন বাংলা কার?
মাত্র ৩০ লাখ টাকায় মিলবে সাত আসনের এ গাড়ি। এতে প্রথমবারের মতো ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা থাকবে। বছর দেড়েক আগে প্রথম এই গাড়ি নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করে বাংলা কারস লিমিটেড। এ প্রসঙ্গে হোসেন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাকির হোসেন বলেন, কোটি টাকা খরচে মার্সিডিজ-বিএমডব্লিউ গাড়িতে একজন গ্রাহক যে সুবিধা পান বাংলা গাড়িতে সে সুবিধা মিলবে মাত্র ৩০ লাখ টাকায়। এটির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম হলো- গাড়িটি পোশাক খাতের মতো মেইড ইন বাংলাদেশ নাম বহন করবে।
দেশকে গাড়ি উৎপাদনে নেতৃত্ব দেবে জাপান, চায়না ও ভারতের মতো। প্রথম পর্যায়ে দেশের ৮ বিভাগে থাকছে বাংলা গাড়ির শোরুম। তাছাড়া আরও ৩০টি শোরুম খুলতে যাচ্ছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে রাজধানীর তেজগাঁও ১৮১-১৮২ নম্বর ঠিকানায় ‘বাংলা কার’র একটি শোরুম চালু করা হয়েছে। যেখানে দেশীয় নিজস্ব ব্র্যান্ডের ৮ রঙের গাড়িটি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ২০২১ সালের নতুন মডেলের গাড়িও শোভা পাচ্ছে শোরুমে।প্রতিষ্ঠানটির গাড়ি তৈরির কারখানা নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটিতে।
শুরুর দিকে নির্মাতাদের লক্ষ্য ছিল দেশেই সকল যন্ত্রপাতি উৎপাদন করে দেশেই অ্যাসেম্বল করে গাড়ি তৈরি করার। কিন্তু করোনার মহামারীর কারণে সেই লক্ষ্যে ভাটা পড়ে। তবে বসে থাকেন নি তারা। ৩টি ভিন্ন দেশের নামকরা ৩ টি প্রতিষ্ঠান থেকে যন্ত্রাংশ তৈরি করে আনা হয়। সেগুলো দেশেই দেশি-বিদেশি কারিগর দ্বারা অ্যাসেম্বল করা হয়।
ইতোমধ্যেই এই গাড়ি বিক্রি শুরু হয়েছে। এই মাস থেকে যন্ত্রপাতিও দেশেই তৈরি হবে বলে জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। এতে দেশে প্রায় ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে দাবি তাদের।
কেন অন্যান্য গাড়ি থেকে ভিন্ন এই গাড়ি সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জনাব জাকির জানালেন, ‘ফোটন বা মিতসুবিশি একটা বা দুটি মডেলের গাড়ি তৈরি করতে পারবে কিন্তু বাংলা কারস সব মডেলের গাড়ি তৈরি করতে পারবে। ১৫০০ থেকে ২৫০০ সিসি পর্যন্ত যেটা ক্রেতার চাহিদা সেটা আমরা তৈরি করে দিতে পারব। আবার ৮ রঙের গাড়ি থাকলেও ক্রেতা যদি অন্য কোনো রঙ পছন্দ করেন, আমরা সেটাও দিতে পারব।’ প্রতিটি গাড়িতে থাকছে ৫ বছরের ওয়ারেন্টি-গ্যারান্টি সুবিধা।
কী আছে বাংলা কারে?
ফোটন বা মিতসুবিশি একটা বা দুটি মডেলের গাড়ি তৈরি করতে পারবে কিন্তু বাংলা কারস সব মডেলের গাড়ি তৈরি করতে পারবে। ১৫০০ থেকে ২৫০০ সিসি পর্যন্ত যেটা ক্রেতার চাহিদা সেটা আমরা তৈরি করে দিতে পারব। আবার ৮ রঙের গাড়ি থাকলেও ক্রেতা যদি অন্য কোনো রঙ পছন্দ করেন, আমরা সেটাও দিতে পারব।
বাংলা কারে অন্যান্য নিয়মিত সুবিধাগুলোর পাশাপশি অত্যাধুনিক বেশ কিছু সুবিধা সংযুক্তির কথা জানানো হয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। গাড়িটিতে দেড় লিটার টার্বো ইঞ্জিন এবং ট্রিপটোনিক মুড পাওয়ার প্যাক রয়েছে। রাখা হয়েছে ১০০ ধরনের ভয়েস সেন্সর সুবিধা। এর মানে আপনি ১০০ টি নির্দেশনা মুখে উচ্চারণের মাধ্যমেই কার্যকর করতে পারবেন, কোনো বাটন ব্যবহার করতে হবে না।
আধুনিক এলইডি পার্কিং লাইট, ফগ ল্যাম্প এবং ইনফিনিট স্টার লাইট গ্রিল ভিভিআরসহ ক্যামেরা হেডলাইট সংযুক্ত করা হয়েছে এতে। আছে জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ সহায়ক এসি৷ গাড়িতে টায়ারের চাপের উপর নজর রাখার জন্য যুক্ত করা হয়েছে টায়ার প্রেসার মনিটরিং সিস্টেম৷ দুই স্তরের প্যানারোমিক সানরুফ সামনের ও পেছনের সিট থেকে আকাশের সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দেবে আপনাকে৷ চলন্ত অবস্থায় স্মার্ট টায়ার সেন্সরগুলোর সাথে ডায়নামিক ৩৬০ ডিগ্রি পার্কিং ক্যামেরা রয়েছে গাড়িটিতে যেটি ঝামেলামুক্ত পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
বাংলা কারের দাম কি বেশি?
বাংলা কারসের প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, একটি এসইউভি গাড়ির বাজার দর কমপক্ষে ৭০ লাখ। সর্বোচ্চ দাম দেড় কোটি টাকা। দেশে সংযোজন করে বিক্রি হওয়ায় এসইউভি বাংলা কার গাড়ির দাম পড়ছে ৩০ লাখ টাকা। তবে আট লাখ টাকাতেই আরেকটি মডেলের গাড়ি আনতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলা কারসের নির্বাহী প্রকৌশলী আল আমিন বলেন, আট লাখ টাকা দামের যে গাড়িটি আমরা বিক্রি করতে যাচ্ছি সেটি সেডান কার। কিন্তু তুলনায় দেশের অন্যান্য গাড়ির দামের সাথে কতটা পার্থক্য বাংলা কারের? বাংলাদেশে মূলত জাপান থেকে ব্যবহৃত গাড়ি আমদানি করা হয়। এসব গাড়িতে পাঁচ বছর পর্যন্ত অপচয় সুবিধা পাওয়া যায়। জাপানের মানে তৈরি হওয়া এসব গাড়ি টেকসই হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের কাছে পুরনো বা ব্যবহৃত হলেও এসব গাড়ির জনপ্রিয়তা রয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির তুলনায় সম্পূর্ণ নতুন তৈরি গাড়ির চাহিদা বেড়েছে। গত তিন বছর ধরে দেশে রিকন্ডিশন গাড়ি বিক্রির সংখ্যা কমতে দেখা গেছে উল্লেখযোগ্য হারে, যার বিপরীতে নতুন গাড়ি বিক্রি অর্জন করেছে টানা প্রবৃদ্ধি। এই সময়ে নতুন গাড়ি বিক্রি আগের তুলনায় ৫৮ শতাংশ বাড়ে। দেশের বাজারে মোটরকার বিক্রয়কারীদের দেওয়া সামষ্টিক তথ্যে এই সংখ্যা উঠে এসেছে। দেশের বাজারে বিক্রি হওয়া প্রতি এক’শ গাড়ির মাঝে এখন ১৯টি গাড়িই নতুন। ২০১৬ সালে এধরনের গাড়ির বাজার প্রতিনিধিত্ব ছিল মাত্র ১২ শতাংশ। পরিসংখ্যান তাই বাংলা কারের জন্য আশির্বাদই বলতে হয়। দামের ক্ষেত্রেও অনেকটাই এগিয়ে আছেন বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক উপাদানের কর মওকুফ সাপেক্ষে এবং রপ্তানী শুরু হলে এই দাম প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনতে পারবেন বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির।
দেশের বাজারে কোন গাড়ি চলছে বেশি?
দেশের গাড়ির বাজার এই মুহূর্তে বেশ সমৃদ্ধই বলা চলে। হোন্ডা ভেজেল, অওডি কিউটু, মিতশুবিশি ইকলিপস ক্রস, নিশান জুক, হেভেল এইচটুসহ বেশ কয়েকটি ক্রসওভার মডেল দেশের গাড়ির বাজারে জনপ্রিয়। এসব গাড়ি সাধারণত সেডান গাড়ির চেয়ে উঁচু আবার এসইউভি গাড়ির তুলনায় নিচু হয়। ক্রসওভারে হুইল বেইস বড় থাকে। মিনিভ্যান বা মাইক্রো যাত্রীর পাশাপাশি মালামালও বহন করতে পারে বলে বরাবরই দেশে জনপ্রিয়তা পেয়ে এসেছে।টয়োটা এক্স নোয়াহ, ভক্সি, আলফার্ড, ভেলফায়ার, হুন্দাই এইচওয়ান মিনিভ্যান গাড়ি হিসেবে পরিচিত দেশে। এমপিভি বা এমইউভি গাড়িরও বাজার চাহিদা কম নয় দেশে। বাংলা কার কে টিকতে হলে এই মডেলগুলোর চেয়ে ভালো কিছু দিতে হবে মানুষকে।
মাল্টিপারপাস ভেহিক্যাল বা মাল্টিইউটিলিটি ভেহিক্যাল এই গাড়িগুলোর অন্যতম সুবিধা হলো গাড়িগুলোতে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সারির আসনগুলোকে বল্টে রেখে মালামাল বহন করার জন্যও ব্যবহার করা যায়। সুজুকি আর্টিগা, মিতশুবিশি এক্সপেন্ডার, টয়োটা এভাঞ্জা, সিয়েন্টাসহ বেশ কয়েকটি মডেলের গাড়ি দেশের বাজারে পাওয়া যায়। রাস্তায় চলাচল করা ব্যক্তিগত গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় গাড়ি হলো সেডান কার। দেশে জনপ্রিয় সেডান গাড়ির মধ্যে টয়োটা প্রিমিও, অ্যালিয়ন, অ্যাক্সিউ, মিতসুবিশি ল্যান্সার, অ্যাট্রেজ, হোন্ডা গ্রেস, সিভিক, অ্যাকর্ড এবং নিশান ব্লুবার্ড উল্লেখযোগ্য।
বাংলা কার গণপরিবহন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনবে?
বাংলা কার দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থায় কেমন পরিবর্তন আনবে সেটি নিয়ে আলোচনা রয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলে। বিশেষ করে ঢাকার যানজট সবসময়ের জন্যই এক মাথা ব্যথার কারণ নীতিনির্ধারক থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণের জন্য। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গাড়ি হিসেবে বাংলা কার এই যানজট আরো বাড়াবে কি না সেটি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। দূষণের মতো ভয়াবহতায়ও ব্যক্তিগত গাড়ির দায় আছে বলে জানিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই জায়গায় বাংলা কার কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবে সেটিও প্রশ্নসাপেক্ষ। তবে গাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বলছে, তারা ইলেকট্রিক কার নির্মাণের কথাও ভাবছেন। এই ধরনের গাড়ি দূষণ প্রতিরোধী হিসেবে বাইরের দেশগুলোয় বেশ কার্যকর। বাংলাদেশে তেমনটা দেখা গেলে ঢাকার দূষণ পরিস্থিতিতে ইতিবাচক ফলই দেখা যাবে।
বাংলাদেশের গাড়ির বাজারে বৈদেশিক গাড়ির দাপটই বেশি। বিদেশ থেকে আমদানি করে কিংবা বাইরে থেকে যন্ত্রাংশ এনে দেশে অ্যাসাম্বল করাতেই এতদিন সীমাবদ্ধ ছিল দেশের গাড়ি বাজার। সেই জায়গায় পরিবর্তন আনছে বাংলা কার। যন্ত্রাংশ, অ্যাসাম্বল কিংবা কারিগরি সহায়তা সবকিছুই হবে দেশের মাটিতে। তাই বিদেশী গাড়ি নির্ভরতা কমে আসবে বলেই আশাবাদ বাজার বিশ্লেষকদের।
বাংলা কারে কারা হবেন লাভবান?
বাংলাদেশের গাড়ির বাজারে বাংলা কার আসার পর লাভের খাতায় কাদের নাম থাকবে এটি সময়ই বলে দেবে। তবে দেশীয় ভোক্তারা এই গাড়ি কিনে লাভবানই হবেন বলে দাবি নির্মাতাদের। কারণ একই মডেলের অন্য কোম্পানির গাড়ি এরচেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি দামি বিক্রি হয় দেশের বাজারে। তাই ক্রেতাদের জন্যই আশির্বাদ হয়ে আসবে এই গাড়ি। তবে উৎপাদকদের লাভের মুখ দেখা নির্ভর করছে বেশ কিছু বিষয়ের উপর। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ভ্যাট প্রত্যাহার। বিদেশী যন্ত্রাংশ দেশে তৈরি করতে গেলে প্রচুর ভ্যাট গুণতে হবে দেশীয় নির্মাতাদের। তাছাড়া রপ্তানি নির্ভর হয়ে উঠাও মুনাফা অর্জনের আরেকটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন বাংলা কার সংশ্লিষ্টরা। এজন্য আগামী বছরই রপ্তানি শুরু করতে চায় তারা।
বাজারে কতটা টিকতে পারবে বাংলা কার?
জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান বিশ্বের জন্য বিশাল এক চিন্তার কারণ। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে ক্রমেই পৃথিবী হয়ে উঠছে বসবাসের অযোগ্য। রাস্তায় গাড়ির কালো ধোঁয়া প্রতিনিয়ত বায়ুকে দূষিত করে তুলছে, হুমকিতে ফেলছে মানুষের জীবন। বর্তমানে তাই বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাপক ব্যবহারের কথা ভাবা হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। এতে করে কালো ধোঁয়ার হাত থেকে মুক্তি পাবে বায়ুমন্ডল। বাংলা কারেও এই ব্যবস্থা আনার কথা বলছে গাড়িটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। তাদের আশা আগামী বছর রপ্তানী শুরু করার পরই তারা বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি শুরু করবেন। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে গাড়ির বাজারে অন্যদের চেয়ে নিজেদের অবস্থান তুলনামূলক শক্তই হবে বলে প্রত্যাশা তাদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।