জুমবাংলা ডেস্ক : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর চরে ভাসছে বিরল প্রজাতির বাঁশি ঠোটাকৃতির মৃত ডলফিন।গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে নাজিরপুর ইউনিয়র চরধানদী এলাকা থেকে স্থানীয় জেলেরা ওই ডলফিনটিকে উদ্ধার করে।
জেলে খলিলুর রহমান, ছালাম মৃধা, জামাল হোসেনসহ কয়েকজন জানায়, শুক্রবার দুপুরে তেঁতুলিয়া নদীর চরধানদি এলাকায় মৃত অবস্থায় ভাসতে দেখে ডলফিনটি। ডলফিনটির ছাই রঙা পিঠ, বুক ও পেট সাদা রংয়ের। ডলফিনটির ঠোট বাঁশির মত। আর ঠোটের দুই পাটিতে আছে অসংখ্য দাত। লম্বায় স্থানীয় মাপের প্রায় পৌঁনে পাঁচ হাত। অনুমানিক ৬০-৬২ কেজির মতো ওজন হবে।
ডলফিনটি ক্রমশ পচে যাওযায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় কৃষক সোহাগ মাতব্বর ডলফিনটিকে বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন। সোহাগ বলেন, পচা ডলফিনটিকে তিনি তাঁর খেতের সার হিসেবে ব্যবহার করবেন।
ঈরিবশে বিষয়ক সংস্থা ‘সেভ দি বার্ড এ্যান্ড বি’ এর পরিচালক এম এ বাশার বলেন, ‘বৈশ্বয়িক আবহাওয়া পরিবর্তণের বিরুপ প্রভাব আজ জলে-স্থলে সর্বত্র। আবার মানুষ তার আবাসস্থল বাড়াতে গিয়ে বাদ-বিচার না করে হানা দিচ্ছে প্রাণিকুলের ওপর।
একই সঙ্গে আবার প্রাণিকুলও হচ্ছে বিপর্যস্ত। ১০-১২ বছর আগে তেঁতুলিয়ার স্বচ্ছ জলে এ ধরণের ডলফিন প্রায়ই খেলা করতে দেখা যেত। আর জেলেরা শুশুক নামে জানত। মিঠা পানির এই ডলফিনের মৃত্যুর খবর পরিবশ-প্রকৃতির জন্য অশনিসংকেত। প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশ ভাল রাখতে এসব বিরল প্রজাতির ডলফিন নিয়ে গভেষণাসহ এদের প্রতি যত্ববান হতে হবে।’
এ ব্যাপারে কালিশুরী ডিগ্রি কলেজের জীব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক তাসলিমা বেগম জানান, জলবায়ূ পরিবর্তণের বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় লবন পানির হানা, নদীতে চর জেগে ওঠা, অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশকের ব্যাবহার, নদীতে অবৈধ জালের ব্যাবহারসহ মানুষের অনাচারে তেঁতুলিয়ায় আর আগের মতো ডলফিনের দেখা মেলে না। বিরল এসব প্রাণীদের প্রতি সবার অনুকুল দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।