জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁদাবাজি ও দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা সভাপতি ওমর ফারুকসহ দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের ৯ নেতার পদ-পদবি স্থগিত করেছে জেলা বিএনপি।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন- বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নূর উদ্দিন, পৌর যুবদলের সদস্য নুর কবির, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম জিন্নাত, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন জুম্মান, কাচালং কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব সারওয়ার গাজী, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাৎ মোল্লা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমির হোসেন।
শনিবার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু নাছির ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাঙামাটিতে চাঁদাবাজির অভিযোগে দলের ভাবমূর্তির ক্ষুণ্ন হওয়ায় জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ স্বেচ্ছাসেবক, যুবদল, ছাত্রদলের ৯ নেতার দলীয় সব ধরনের পদ-পদবি স্থগিত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে চাঁদাবাজির অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা বিএনপি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ, স্থানীয় বাঘাইছড়ি উপজেলা ও পৌর বিএনপি নেতাদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, ওই সব নেতা দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করাসহ দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন।
এ ধরনের অপকর্ম থেকে বিরত থাকার জন্য কেন্দ্রীয় ও রাঙামাটি জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে দলের নেতাকর্মী সবাইকে একাধিকবার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে; কিন্তু তারা দলের দায়িত্বশীল পদে বহাল থেকে দলের সব নির্দেশনা অমান্য করে গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে দলীয় সুনাম ও শৃঙ্খলা নষ্ট করেছেন।
এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় সব পর্যায়ের দলীয় পদ-পদবি ও পদের কার্যক্রম দলের গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারা মোতাবেক অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ জানান, চাঁদাবাজিসহ যে কোনো অভিযোগের বিষয়ে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হলেই কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাই প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা অভিযুক্তদের পদ-পদবি স্থগিত করেছি। অভিযোগের বিষয়ে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু নাছিরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।