আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফেসবুকে একের পর এক নারীবিদ্বেষী পোস্ট। বাঙালি মেয়েদের উদ্দেশে যৌ’ন ইঙ্গিতপূর্ণ কুরুচিকর মন্তব্য ও আক্রমণ করে নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়লেন নিশান্ত সিং নামের এক যুবক।
ফেসবুক প্রোফাইল অনুসারে, নিশান্ত সিং নামে দিল্লির ওই যুবক কর্মসূত্রে থাকেন কলকাতায়। তিনি ইনফোসিসে কাজ করেন বলেও উল্লেখ রয়েছে তার ফেসবুক প্রোফাইলে। সম্প্রতি মানালিতে পারাগ্লাইডিং করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সেই ভিডিওর একটি দৃশ্যের স্ক্রিনশট নিয়ে নিশান্ত পোস্ট করেন নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে। গত বৃহস্পতিবার করা সেই পোস্টে ছবির উপর লেখা, ‘পা উপর কর!’ আর পোস্ট কপিতে নিশান্ত লিখেছিলেন, ‘আমার দেখা প্রত্যেক বাঙালি মেয়েই এ রকম।’
সেই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় সমালোচনা। বাঙালি নারীদের অসম্মান করার জন্য নিশান্তের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন নেটিজেনরা। তারপরে নিশান্তের প্রোফাইল খুলতেই বেরিয়ে আসে একের পর নারীবিদ্বেষী পোস্ট। সেই সব পোস্টে দেখা যায় নিশান্তের নিশানা মূলত বাঙালি মেয়েরাই।
সেই পোস্টে কোথাও লেখা, বর্তমান যুগের কোনও বাঙালি তরুণীই না কি এক জন পুরুষসঙ্গীতে সন্তুষ্ট নয়। তারা একাধিক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। এই রকম কু’রু’চিকর ভাষায় নিশান্তের করা একাধিক পোস্টে আ’ক্রম’ণ করা হয়েছে বাঙালি মেয়েদের।
এই বিষয়টি সামনে আসতেই অনেকে নিশান্তের প্রোফাইলের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করে। তারপর ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ওই অ্যাকাউন্টটি। তবে অ্যাকাউন্টটি নিশান্ত নিজেই ডিলিট করে দিয়েছে, না কি ফেসবুকই বন্ধ করে দিয়েছে, তা অবশ্য জানা যায়নি।
তবে নিশান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়ে আইনি পদক্ষেপের জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। তাদের অনেকেই নিশান্তের সেই সব বি’দ্বে’ষমূলক পোস্টের স্ক্রিনশট রেখেছেন। ইনফোসিসের কাছে সেই পোস্টের স্ক্রিনশটের পাঠিয়ে নিশান্ত সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি, অভিযোগ করা হয়েছে দিল্লি ও কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগেও।
নিশান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের অন্যতম শেখর দুবে বলেছেন, ‘ডেঙ্গু হওয়ায় আমি বাড়িতে। তাই ইমেলের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই আমি ইসফোসিস, কলকাতা পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ জানিয়েছি।’ তবে শেখর একা নন, তার অনেক বন্ধু-সহ প্রায় দেড়শো জন নিশান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে ইমেল করেছেন পুলিশে কাছে।
নিশান্ত তাদের কর্মী কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে শেখরদের জানানো হয়েছে ইনফোসিসের তরফে। যদিও শেখরদের করা ইমেলের কোনও জবাব এখনও পর্যন্ত ইনফোসিস দেয়নি বলে জানিয়েছেন শেখর। নিশান্ত কি আদৌ ইনফোসিসের কর্মী?
এ ব্যাপারে ওই সংস্থা কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। তবে কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এমন অভিযোগের ব্যাপারে তিনি এখনও পর্যন্ত কিছু জানেন না। এমনটা যদি হয়ে থাকে, তা হলে অবশ্যই তা তদন্তযোগ্য। সূত্র : আনন্দবাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।