লাইফস্টাইল ডেস্ক : পিঠাপুলি বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী খাবার। এর স্বাদ, বানানোর পদ্ধতিতে আছে আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্যের ছাপ। সব ঋতুতেই পিঠা খাওয়া গেলেও শীতকালে এর স্বাদ যেন বেড়ে যায় অনেক গুণ। ভোরের শিশির ভেজা পরিবেশে গ্রামের উঠোনে বসে গরম চিতই আর ভাপা হোক কিংবা বিকালের নরম আলোয় মিষ্টি পাটিসাপটা বা পুলি সব পিঠাই অনন্য তাদের নিজস্ব স্বাদের জন্য।
শুধু ঐতিহ্য নয়। খাবার হিসেবে পুষ্টিগুণের ক্ষেত্রেও এসব পিঠা অনেক পুষ্টিকর আর স্বাস্থ্যসম্মত। আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত পিঠাসমূহের মধ্যে আছে চিতই, ভাপা, দুধচিতই, পুলি, গুড়ের পাটিসাপটা ইত্যাদি। বিভিন্ন স্বাদের এসব পিঠা তৈরির ক্ষেত্রে আছে বৈচিত্র্য। তবে পিঠা তৈরির উপকরণগুলো অনেকক্ষেত্রেই একই। যেমন চালের গুড়া, গুড়, ময়দা, নারকেল ইত্যাদি। এসব উপকরণের পুষ্টিগুণ নিচে দেওয়া হল-
চালের গুড়া – পিঠা ভেদে নানা ধরণের চালের গুড়া ব্যবহার করা হয়। এতে প্রায় ৯০% কার্বোহাইড্রেট, ৮% প্রোটিন আর ২% ফ্যাট থাকে। অধিক শর্করার উপস্থিতির জন্য পিঠা শরীরে শক্তির চাহিদা মেটায়। আতপ বা সাদা চালের গুড়া ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ইত্যাদির খুব ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে।
গুড় – প্রতি ১০০ গ্রাম গুড়ে ১৫৮ ক্যালরি শক্তি থাকে। এছাড়া এতে নানা ধরণের খনিজ, ভিটামিন এবং কিছু ফাইবার থাকে।
নারকেল – নারকেলের উপস্থিতি শুধু পিঠার স্বাদই না বারায় এর পুষ্টিগুণও। একটা মাঝারী আকারের নারকেলে ১৪০৫ ক্যালরি শক্তি, ৩০-১৫০ মিলি পানি, ফ্যাট ও ফাইবার থাকে। তাছাড়া নারকেল ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক ইত্যাদি খনিজ উপাদানও পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে।
বাদাম – অনেক পিঠাতেই স্বাদবর্ধক হিসেবে বাদাম ব্যবহার করা হয়। বাদাম খনিজের একটা বড় উৎস। এছাড়া এতে ফ্যাট, ফ্যাটই এসিড ইত্যাদি উপাদানও থাকে।
শীতের পূর্ণতা পিঠাপুলি ছাড়া ভাবাই যায়না। স্বাদে আর খাদ্যগুণে অনন্য এসব পিঠা আমাদের খাবারের ঐতিহ্য কে করেছে সমৃদ্ধ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।