দুই–তিন বছরের শিশুও ডিজিটাল ট্যাবলেটে সারাক্ষণ ডুবে থাকে। বইয়ের চেয়ে ট্যাবলেট তাদের বেশি টানে। অনেক সময় মা ভাবেন, এটা তো ভালোই। বাচ্চা ডিজিটাল যুগের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের একদল বিশেষজ্ঞ জামা পেডিয়াট্রিকস ম্যাগাজিনে এ বিষয়ে তাঁদের গবেষণাভিত্তিক নতুন কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন।
ম্যাগাজিনটি আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রকাশনা। তাদের সাপ্তাহিক অনলাইন ও মাসিক ছাপা পত্রিকায় গুরুত্বপূর্ণ লেখা ছাপা হয়। প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, ডিজিটাল মাধ্যম অতিরিক্ত ব্যবহার করলে বাচ্চাদের মনের বিকাশ সাধনে বাধা এবং ঘুমের সমস্যা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে।
যদিও ডিজিটাল মাধ্যমে পারস্পরিক কথোপকথনের সুযোগ রয়েছে, কিন্তু সেটা সমভাবে থাকে না। বরং মা যদি বাচ্চাকে একটা ছবির বই পড়ে শোনান এবং গল্পের মতো করে কথোপকথনের মাধ্যমে সবকিছু বুঝিয়ে দেন, তাহলে সেটা শিশুকে অনেক বেশি উদ্বুদ্ধ করে।
এটা শিশুর চিন্তাশক্তির বিকাশে এবং কল্পনাশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সাধারণত শিশুরা মায়ের হাত সরিয়ে ডিজিটাল ট্যাবলেট কেড়ে নিতে পছন্দ করে। বিপরীতে মা তার শিশুর হাত সরিয়ে ডিজিটাল ট্যাবলেট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। ফলে প্রকৃত অর্থে কথোপকথনের মাধ্যমে শিশুর মনোজগৎ সমৃদ্ধ করার সুযোগ তেমন থাকে না।
তাই গবেষকদের মত হলো, ট্যাবলেটের চেয়ে শিশুকে বই পড়ে শোনানো ভালো। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ৩৭ জন মা–বাবা ও শিশুকে নিয়ে গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন। অবশ্য তাঁরা বলেছেন, আরও বড় আকারে এ বিষয়ে গবেষণা করা দরকার। বিষয়টি আমাদের দেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, আমাদের শিশুরা ডিজিটাল ট্যাবলেটের অতিরিক্ত ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। ট্যাবলেটে ডিজিটাল গেম খেলা একধরনের নেশায় পরিণত হয়। তাই মা–বাবাকে সাবধান হতে হবে। ডিজিটাল ট্যাবলেট বা স্মার্টফোন ব্যবহারের উপকারিতা নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু শিশুরা যেন এসব ডিজিটাল ডিভাইসে বেশি আসক্ত হয়ে না পড়ে, সে সম্পর্কে মা–বাবাকে সতর্ক থাকতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।