জুমবাংলা ডেস্ক : সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, খুচরা বাজারে এখন চিনি কেনাবেচা হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। অথচ টিসিবির জন্যই বাজারদরের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে অর্থাৎ ১৬০ টাকা কেজি চিনি কেনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
আজ বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে চিনি কেনার এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সচিব জানান, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ১০ হাজার টন চিনি কেনা হবে। প্রতি কেজিতে খরচ পড়বে ১৬০ টাকা।
বাজারদরের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে চিনি কেনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনে কিছু চিনি মজুত রয়ে গেছে। বিদেশ থেকে আমদানি করতে একটু সময় লাগবে বলে আপাতত বিএসএফআইসি থেকে চিনি কেনা হবে। টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে যে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, তাদের জন্যই সরকারি চিনিকলে উৎপাদিত চিনি কেনা হচ্ছে। টিসিবি এসব চিনি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মধ্যে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবে।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন এখন খোলাবাজারে যে চিনি বিক্রি করছে তার কেজি ১৪০ টাকা-এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, উভয় পক্ষ দর-কষাকষি করেছে এবং উভয় পক্ষই এ দরে রাজি হয়েছে।
সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ১০০ টাকা ৮০ পয়সা কেজি দরে ৮ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয় ক্রয় কমিটিতে। এতে মোট খরচ হবে ৭৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।