জুমবাংলা ডেস্ক : দুর্নীতির মামলায় পুলিশের ডিআইজি মিজান ও দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে বাদী দুদকের পরিচালক শেখ ফানাফিল্যার সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলার বিচার কাজ শুরু হলো।
আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা বলেন, আসামি খন্দকার এনামুল বাছির দুদকের কর্মকর্তা হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ডিআইজি মিজানুর রহমানকে অবৈধ সুবিধা দেওয়ার জন্য ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন। অপর দিকে ডিআইজি মিজানুর রহমান সরকারি কর্মকর্তা হয়ে নিজের বিরুদ্ধে আনা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে দুদকের পরিচালক এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেন। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়টি দুদক অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেয়।
তিনি জানান, বাজারের ব্যাগে করে বাছিরকে ২৫ লাখ টাকা ঘুষ দেন ডিআইজি মিজান।
বুধবার (১৯ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ১৮ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
এর আগে গত ৪ মার্চ দুদকের পক্ষে অভিযোগ গঠন শুনানি শেষ হয়। ১৯ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক শেখ ফানাফিল্যা এ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত বছরের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেছিলেন দুদকের পরিচালক শেখ ফানাফিল্যা।
ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পর খন্দকার এনামুল বাছির ও ডিআইজি মিজানুর রহমান ওরফে মিজান সাময়িক বরখাস্ত হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।