বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: ROG zephyrus দেখতে থিন এন্ড লাইট এবং ওজনেও সাধারণ নোটবুক গুলোর মত কিন্তু under the hood it’s a beast.আসুস তাদের জেইফ্রাস লাইন আপ বলা চলে গেমিং ল্যাপটপ জগতে এক রেভুলেশন এর মতই। আসুস যখন ঘোষণা দিল এই ডিভাইসের তখন সবাই একটু অবাকই হয়েছে বলা চলে। কেননা আমরা গেমিং ল্যাপটপ বলতেই বুঝতাম মোটা এবং ওজনে অনেক। গতবার আসুস তাদের এই ল্যাপটপ সিরিজ রিলিজ দিয়েছে লাস্টজেন প্রসেসর এবং এনভিডিয়ার ১০ সিরিজের প্রসেসর দিয়ে। সময় বদলেছে বাজারে এসেছে নতুন সিপিউ এন্ড জিপিউ তাই আসুসও তাদের মডেল গুলার রিফ্রেশ করে বাজারে এনেছে হালের ট্রেন্ডকে মাথায় রেখে। এই পোস্টের শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলে আপনি পরিচিত হয়ে যাবেন দেশের বাজারে পাওয়া যায় এমন কিছু zephyrus লাইনাপের নতুন সদস্যদের সাথে।
আসুস বাংলাদেশ বাজারে নিয়ে এসেছে তাদের Zephyrurs S GX531 সিরিজ। পাওয়া যাচ্ছে ইন্টেলের এইটজেন কোর আই সেভেন এবং এনভিডীয়ার RTX 2080 MaxQ জিপিউর সাথে। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ৩ টি ভ্যারিয়েন্টে। মডেল ৩ টিতে প্রায় সব কিছু সেইম টু সেইম হলেও পার্থক্য দেয়া হয়েছে জিপিউ এবং স্টোরেজ অপশনে।
Zephyrus সিরিজের ডিজাইন নিয়ে কোন অভিযোগের যায়গা রাখে নি আসুস। আমার দেখা ওয়ান অফ কম্প্যাক একটি প্যাকেজ এটি। ন্যাজো এজ ডিসপ্লের সাথে ১৪৪ হার্জ এর প্যানেল আপনাকে দিতে পারে এক স্মুথ গেমপ্লে এর এক্সপেরিয়েন্স। আর স্লিম হওয়ার ফলে একে নিয়ে আরামসে ট্রাভেল করতে পারবেন।
হার্ডওয়্যার নিয়ে কমপ্লেইন কি করবো এই ভেবে খুজতে শুরু করলাম এর খারাপ দিক গুলো। কিন্তু আমাকে হতাশ করে দিয়ে এই ল্যাপটপ আমাকে আরো ইম্প্রেস করা শুরু করলো। তবে একটা বিষয় ইন্টেলের ৯ম জেনারেশনের চিপ এভেইএবল থাকার পরেও ৮ম জেনারেশন দিয়ে ল্যাপটপ আনার কোন মানে হয় না। আর সব থেকে খারাপ লেগেছে এর র্যাম এক্সপেনডিবিলিটি ইস্যু। বক্সের বাইরে মাত্র ৮ জিবি পাচ্ছেন আর পাচ্ছেন আরেকটি ব্লাঙ্ক স্লট যার মাধ্যমে আপনি এর মেমরি বাড়িয়ে নিতে পারবেন। তবে আমার কাছে আসুসের এই সিদ্ধান্তকে যথাযথ মনে হয়নি। কেননা এই জাতের ডিভাইস গুলাতে মিনিমাম ১৬ জিবি আউট অফ দ্যা বক্স থাকা উচিত আমার মতে।
স্লীম হওয়ায় প্রথম যে বিষয়টি মাথায় আসে তা হলো এর থার্মাল পারফমেন্স। গেমিং, প্রোডাক্টিভ কাজ গুলো করা যাচ্ছিলো আরামসেই। থার্মাল থ্রটলিং এর দেখা পাইনি। আসুসের নতুন Active Aerodynamic (AAS) System থাকায় এর থার্মাল পারফমেন্স ছিলো সন্তোস জনক।
পারফমেন্স এর বেলায় এর i7-8750HQ প্রসেসর এর নামের সুবিচার করতে প্রেছে আমার মতে। সিনেবেঞ্চ R 15 এর স্কোর ছিল 1217 cb. জিপিউর পারফমেন্স ছিলো সন্তোষজনক। সব ত্রিপল এ টাইটেল এর গেম গুলো খেলা যাচ্ছিলো হাই টু আল্ট্রা সেটিংসে। খেলেছিলাম RTX অন করে যাতে প্রায় ৬০+ এফ পি এস পাচ্ছিলাম যা সন্তোষজনক আমার কাছে। তবে যারা কিনবেন তাদের জন্য একটা উপদেশ থাকবে একটি ৮ জিবি র্যাম এড করে নেবার জন্য।
ল্যাপটপে ব্যাবহার করা হয়েছে নামপ্যাডলেস কিবোর্ড যা যথেস্ট কমফোর্টেবল। ট্রাকপ্যাড দেয়া আছে এক সাইডে আর তার উপর কিছু বাটন এবং নাম্বার প্যাড কি। এই বাটনের একটি খোচায় ট্রাকপ্যাডটি হয়ে যাবে নাম্বারপ্যাড। ডেডীকেটেড লেফট-রাইট বাটন থাকায় সাইডে ট্রাক প্যাড আমার কাছে ভালোই লেগেছে।
পোর্ট এন্ড কানেক্টিভিটিতেও এই ল্যাপিটপ খানা এগিয়ে। থাকছে দুইটি ফুল সাইজ ইউএসবি ৩.১ জেন ১ ও একটি টাইপ-সি ৩.১ জেন ২ যার মাধ্যমে ল্যাপটপটিকে চার্জ দিতে পারবেন ট্রাভেলের সময়। আছে হেডফোন জ্যাক এবং পিছনের দিকে একটি HDMI পোর্ট দেয়া আছে ডিসপ্লে আউটপুটের জন্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।