জুমবাংলা ডেস্ক : কয়েক দিন ধরে দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। পেঁয়াজ, চাল থেকে শুরু করে অনেক পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এরই মধ্যে দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বাজার নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে বেড়েছে সব ধরনের ডালের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের ডালের দাম কেজিতে ২ থেকে ১৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম থাকায় এবং মিল গেটে দাম বাড়ায় ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে ডালের বাজার।
গতকাল নিতাইগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, ভারত থেকে আমদানীকৃত দিল্লি সুপার ডাল কেজিতে ৬ টাকা বেড়ে পাইকারিতে ১১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সিটি কোম্পানির আস্ত মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি দরে। যেখানে পাঁচদিন আগেও একই ডাল বেচাকেনা হয়েছে ৪৫ টাকা ৫০ পয়সা দরে। আর একই কোম্পানির ভাঙা মসুরের ডাল বেচাকেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৪ টাকায়, যেখানে গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৪৩ টাকা দরে। আর দেশী মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮৮ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ৮৬ থেকে ৮৭ টাকায়।
বাজারে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মুগ ডালের দাম। ১৫ দিন আগে প্রতি কেজি মুগ ডালের দাম ছিল ১০০ থেকে ১০২ টাকা, যা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৮ টাকায়। সেই হিসাবে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৬ টাকা।
অন্যদিকে খেসারির ডাল কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৭০ টাকায়, অ্যাংকরের ডাল ৩ টাকা বেড়ে ৩১, চনাবুটের ২-৩ টাকা বেড়ে ৬৩ থেকে ৬৪ এবং মাষকলাই ডালের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৯৮ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার বিষয়ে নিতাইগঞ্জের ডাল ব্যবসায়ী নীল কমল সাহা বণিক বার্তাকে বলেন, এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই ডালের নতুন মৌসুম শুরু হবে। মৌসুম শুরুর আগে বাজারে সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি দেখা দেয়। যে কারণে প্রতি বছর এ সময়ে ডালের বাজার কিছুটা বাড়তি থাকে। এছাড়া মুগ ডালের মৌসুম এখন শেষ পর্যায়ে। বাজারে পুরনো মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে। এ ডালের সরবরাহ সংকট থাকায় দাম একটু বেশি।
একই কথা জানালেন নিতাইগঞ্জের আরেক ব্যবসায়ী বিপ্লব সাহা। তার মতে, প্রতি বছর শীতের মৌসুমে ডালের দাম একটু বাড়তি থাকে। তবে বর্তমানে যে পরিমাণ দাম বেড়েছে, সেটা এখনো ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে সব ধরনের ডাল বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল নগরীর দিগু বাবুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি মুগ ডাল ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর তীর কোম্পানির আস্ত মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়। একইভাবে অন্যান্য ডাল পাইকারির তুলনায় কয়েক টাকা বেশিতে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকে পণ্য কিনে দোকানে আনতে বস্তাপ্রতি পরিবহন ভাড়া চলে যায় ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি বস্তা ডাল বিক্রি করতেও কমপক্ষে এক সপ্তাহ লাগে। এ কারণে পাইকারির তুলনায় খুচরা পর্যায়ে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়।
খবর : বণিক বার্তা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।