জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরে পাইকারি বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় কমেছে দাম। তবে চাষিরা বলছেন, দাম পড়ে যাওয়ায় উঠছে না উৎপাদন খরচ। দাম কমায় সবজি বিক্রি করে লাভ করতে পারছেন না বলে দাবি পাইকারদেরও।
যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি পাইকারি সবজি বাজার। ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে শীতের মাঝেই সরগরম এ পাইকারি বাজার। তবে বাজারে পর্যাপ্ত সবজি থাকলেও মুখে হাসি নেই কৃষকের।
এক মাস আগেও যে সবজির দাম ছিল চড়া, তা এখন বিক্রি করতে হচ্ছে এক-দুই টাকা কেজি দরে। চাষিদের দাবি, এতে খরচের টাকাও তুলতে পারছেন না। অতিবৃষ্টির কারণে এ বছর নির্ধারিত সময়ে শীতকালীন সবজির উৎপাদন হয়নি। তবে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বাড়ায় দাম নেমে এসেছে তলানিতে। এতে চরম লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।
বর্তমানে পাইকারিতে প্রতিকেজি কুমড়া ১৫ টাকা, টমেটো ২৫ টাকা, কাঁচামরিচ কেজি ৩০ টাকা, বেগুন ১৫ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, মুলা ৩ টাকা, শিম ৭ টাকা, গাজর ১৭ টাকা, শালগম ১২ টাকা, পেঁয়াজের কলি ৫ টাকা ও আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আর প্রতিপিস ফুলকপি ৩ টাকা, বাঁধাকপি ৫ টাকা ও লাউ ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে পাইকারি ক্রেতারা জানান, সবজির সরবরাহ বাড়ায় কমে গেছে দাম। এতে তারাও রয়েছেন বিপাকে। লাভ ওঠানো মুশকিল হয়ে পড়ছে। পরিবহন খরচ মিটিয়ে থাকছে না কাঙ্ক্ষিত টাকা।
উল্লেখ্য, পাইকারি এ সবজি বাজারে প্রতিদিন প্রায় ৩০ লাখ টাকার বেচাকেনা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।