সুন্দরবনের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়াসহ নদী-খাল ও ঘেরের মাছ বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনার বাজারগুলোতে সরবরাহ বেড়েছে বিভিন্ন মাছের। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ রূপসা কেসিসি পাইকারি মাছ বাজারে দেখা যায় ক্রেতা বিক্রেতাদের হাক ডাকে চলছে মাছ ক্রয় বিক্রয়। সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে বলেও জানান বিক্রেতারা।
বিক্রেতারা ইলিশের দাম কিছুটা কমেছে বললেও সেটি এখন পর্যন্ত ক্রেতাসাধারণের নাগালের বাইরে। বাজারে এক কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হতে দেখা গেছে দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায়। ৫ থেকে ৭টি কেজির মাছ বিক্রি হয়েছে এক হাজার থেকে ১২০০ টাকায়। আর ৮ থেকে ১০টি কেজি (জাটকা) বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়।
রাসেল শেখ নামের এক ক্রেতা বলেন, ইলিশের এখন ভরা মৌসুম। এই সময়ে এত দাম থাকবে কেন? দাম কিছুটা কম শুনে বাজারে এসেছিলাম, কিন্তু তবুও নাগালের বাইরে। এক কেজি ইলিশ যদি দুই হাজার টাকা দিয়ে কিনি, মাসের শেষ দশ দিন তো না খেয়ে থাকতে হবে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রমজান আলী বলেন, ইলিশ বাজার থেকে মাছ না কিনেই ফিরেছেন। দেড়-দুই হাজার টাকা কেজি দরে ইলিশ কিনে খাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। রুই মাছ আর মুরগি কিনলাম।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভরা মৌসুমে ইলিশ আসছে অনেক, তবুও দাম কমছে না কারণ আমাদের বাজার দেখার কেউ নেই। বাজার তদারকি করলে আমরাও মাঝে মধ্যে ইলিশ কিনতে পারতাম।
এদিকে বিক্রেতা ও আড়তদাররা বলছেন, চলতি মাসের মধ্যে আজকেই (সোমবার) মাছের দাম সবচেয়ে কম। গত সপ্তাহে যে মাছ ১২০০ টাকা ছিল, সেটি হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বড় মাছ কম ধরা পড়ায় দাম বেশিই রয়েছে। ছোট মাছের সরবরাহ বেশি থাকায় সেটি নাগালের মধ্যেই আছে।
এছাড়া রুই, কাতলা, টেংরা, কই, পারশে, তেলাপিয়া, চিংড়িসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কেজি প্রতি ২০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে বলে জানান তারা।
সূত্র : সময় সংবাদ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।