জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর বাজারে ৫২ টাকার নিচে কোনো চাল মিলছে না। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় যে চাল, সেই ব্রি ধান-২৮-এর চালের কেজি গতকাল সোমবার খুচরা বাজারে ছিল ৫৫ টাকা। আর চিকন চালের মধ্যে নাজিরশাইল ছিল ৮৫ টাকা কেজি।
রাজধানীর একাধিক বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চার দিনের ব্যবধানে পাইকারিতে দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
আর বাজারভেদে খুচরায় কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। ফলে খুচরা বাজারে চাল এখন ৫৫ টাকার নিচে মিলছে না।
পাইকারি চাল ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রাইস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য মতে, গতকাল রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোতে মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়। গত ৪ আগস্ট ছিল ৬৫ টাকা। ৪ আগস্ট বিক্রি হওয়া ৪৭ টাকার মোটা চাল গতকাল বিক্রি হয়েছে ৪৯ টাকায়। ৬৬ টাকার নাজিরশাইল ৬৭ টাকা, ৭১ টাকার কাটারিভোগ ৭৩ টাকা, ৭৮ টাকার বাসমতী ৮২ টাকা এবং ১০৮ টাকার চিনিগুঁড়া বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়।
বাংলাদেশ রাইস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জাকির হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পরিবহন খরচ বাড়বে। এতে চালের দাম বাড়বে—এটিই প্রত্যাশিত ছিল। দেশের বাজারে এখন সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হওয়া চালের কেজি ৪৯ টাকায় পৌঁছেছে। সামনের দিনে কৃষক পর্যায়ে চালের উৎপাদন খরচও বাড়বে। ’
পাইকারিতে সব ধরনের চালের দাম দুই থেকে পাঁচ টাকা বৃদ্ধির কারণে খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে চালের দাম পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজধানীর জোয়ারসাহার বাজারের মেসার্স ভাই ভাই স্টোরের মো. নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, পাইকারিতে দাম বাড়ায় খুচরায় প্রতি কেজি চালে তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চিকন চালের মধ্যে মিনিকেট কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়, নাজিরশাইল ৭০ থেকে ৮৫ টাকায় এবং মোটা চাল ব্রি ধান-২৮ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।
মোকামেও দাম বৃদ্ধি : দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ায় মিলগেটেই প্রতি কেজি চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে দুই থেকে চার টাকা। বেশ কিছুদিন ধরে এখানে বাজার স্থিতিশীল ছিল। গতকাল সোমবার থেকে আবার দাম বেড়েছে। গত ছয় মাসে এ নিয়ে তিন দফা চালের দাম বাড়ালেন মিল মালিকরা।
জেলার বাজারগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, গত রবিবার যে বাসমতী ছিল ৭৮ টাকা কেজি গতকাল সোমবার তা ৮২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যে মিনিকেট ৬৪ টাকা কেজি ছিল, গতকাল তা ৬৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাজল লতা ছিল ৫৬ টাকা, তা হয়েছে ৬০ টাকা। আটাশ চাল ছিল ৫০ টাকা, হয়েছে ৫২ টাকা।
চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন প্রধান বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। এ কারণে চালের দাম কেজিতে এক টাকা বাড়ানো হয়েছে। আর ধানের দাম বৃদ্ধির কারণে বাড়ানো হয়েছে আরো এক টাকা। সূত্র : কালের কণ্ঠ
চিহ্নিত হয়েছে ‘দুর্বল’ ১০ ব্যাংক, তালিকায় প্রথম যে ব্যাংকের নাম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।