দেশে খাদ্যমূল্যের দাম যেন বৃদ্ধি না পায় এবং বাজার স্থিতিশীল থাকে সেজন্য বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহের নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ সরকার। তাছাড়া সামনের রমজান মাসকে কেন্দ্র করে সবকিছু স্থিতিশীল রাখার পরিকল্পনা তো আছেই। সেটা মাথায় রেখে ভারত থেকে প্রথমে পাঁচ টন ডাল আমদানি করেছিল সরকার।
এরপর সাম্প্রতিক সময়ে আরো পাঁচ টন ডাল আমদানি করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখউড়া স্থলবন্দর দিয়ে এ ডাল বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। আমদানি করার সময় ১০৯ টাকা প্রতি কেজি দাম ধরা হয়েছে। সব মিলিয়ে দশ টন ডাল অলরেডি আমদানি করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে ভারতীয় একটি ট্রাকে করে এসব ডাল বাংলাদেশে প্রবেশ করলে বন্দর এলাকায় নামিয়ে রাখা হয়। ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এশিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল টনপ্রতি ৯০০ ডলারে এসব ডাল আমদানি করেছে। সিঅ্যান্ডএফ ছিল আখাউড়ার মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। রপ্তানিকারক হলো- ভারতের কলকাতার এমক্সটিম প্রাইভেট লিমিটেড।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রমজানকে সামনে রেখে ডাল আমদানি করা হচ্ছে। বাজারে ভালো দর পাওয়া গেলে ও চাহিদা থাকলে নিয়মিত ডাল আমদানির আশা করা হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য পণ্যও আনার চিন্তা করছেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে গত ৬ জানুয়ারি ভারত থেকে পাঁচ টন জিরা আসে, যা চলতি অর্থবছরে প্রথমবারের মতো আমদানির ঘটনা।
এই আমদানি করার বিষয়টি মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের প্রতিনিধি আখতার হোসেন বলেন যে, ত্রিপুরা থেকে এ ডাল আমদানি করা হয়েছে। দুইটি স্টেপ অনুসরণ করে তাদের স্থানীয় বাজার থেকে আমরা আমদানি করেছি। রমজান মাস আসতে বেশি দেরি নয়। ওই সময় ডালের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। ডালসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম যেন বৃদ্ধি না পায় সে পরিকল্পনা মাথায় রেখে আমদানি করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।