Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home বাজেট হতে হবে আরো সংবেদনশীল
    মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার স্লাইডার

    বাজেট হতে হবে আরো সংবেদনশীল

    Soumo SakibMay 13, 20248 Mins Read
    Advertisement

    ড. আতিউর রহমান : অস্বীকার করার উপায় নেই যে বাংলাদেশের অর্থনীতি এই সময়টায় দারুণ সব চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে বাইরের এবং ভেতরের কারণগুলো যুগপৎ কাজ করছে। শুধু বিদেশিদের দায়ী না করে একই সঙ্গে আমাদের নিজস্ব সামষ্টিক অর্থনীতির কাঠামোগত সমস্যাগুলোর উৎসও চিহ্নিত করার দরকার রয়েছে। তার মানে এই নয় যে বিশ্ব অর্থনৈতিক অস্থিরতা, হালের ইরান-ইসরায়েল সমরাস্ত্রের ঝনঝনানিসহ নানামুখী ভূ-রাজনৈতিক সংকটকে খাটো করে দেখব।

    আমাদের অর্থনীতি এখন অনেকটাই ‘গ্লোবালাইজড’। তাই বিশ্বায়নের সমকালীন চাপ ও তাপের প্রভাব তো পড়বেই। এমনই এক জটিল প্রেক্ষাপটে আগামী মাসে আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব পেশ করা হবে মহান জাতীয় সংসদে। নতুন সরকারের এটাই প্রথম বাজেট।

    সব মিলিয়েই একে ঘিরে মানুষের যথেষ্ট আগ্রহ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে গত ১৫ বছরে যে ধরনের প্রবৃদ্ধির গতি দেখতে আমরা অভ্যস্ত, তার ক্ষেত্রে একটু ছাড় দিয়ে হলেও বাস্তবতার নিরিখে বেশ খানিকটা সংকোচনমুখী বাজেটের দিকেই সরকার হাঁটবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। সেটাই প্রত্যাশিত।
    কাটছাঁটের বাজেট হলেও জনগণের অর্থনৈতিক সুরক্ষার প্রতি মনোযোগ কমিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।

    তাই সামষ্টিক অর্থনীতির রক্ষাকবচ কৃষি খাতে সরকারি বিনিয়োগ যেন বাধা না পড়ে এবং কৃষির উপকরণের ক্ষেত্রে দেয় ভর্তুকি সম্ভব হলে আরো বাড়ানোর জন্য বাজেটে যথাযথ বরাদ্দ বহাল রাখা একান্ত জরুরি। পাশাপাশি বাজেটে সংকোচনমুখিতা যেন রপ্তানিমুখী শিল্প, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে, সেদিকগুলোতেও সদা জাগ্রত দৃষ্টি রাখা চাই। সর্বোপরি মূল্যস্ফীতির কারণে জনজীবন যে বেশ খানিকটা চাপের মুখে আছে, সেদিকটাও খেয়াল রাখতে হচ্ছে বাজেট প্রণেতাদের। পরিসংখ্যান ব্যুরো দুই অঙ্কের কাছাকাছি মূল্যস্ফীতির কথা বললেও বিআইডিএসের সর্বশেষ মাঠজরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশেরও বেশি হতে পারে। কাজেই মূল্যস্ফীতির এই চাপ থেকে জনগণকে, বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক খাতনির্ভর নিম্ন আয় শ্রেণির পরিবারগুলোকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতের বরাদ্দ আরো বলশালী করা দরকার।

    সামষ্টিক অর্থনৈতিক বাস্তবতার কারণে সংকোচনমুখী বাজেট করার সময় তাই বাজেট প্রণেতাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রবাসমুখী শ্রমিকসহ সবার দক্ষতা ‍উন্নয়ন এবং সামাজিক সুরক্ষার মতো খাতগুলোর প্রতি অবশ্যই বেশি করে সংবেদনশীল থাকতে হবে। দেড় দশক ধরেই আমাদের বাজেট প্রণেতারা গণমুখী বাজেট প্রণয়নে যে ধারাবাহিকতা দেখিয়ে চলেছেন, তাতে এ খাতগুলোর দিকে বাজেট প্রণেতারা যে সংবেদনশীল থাকবেন, তেমনটা আমরা আশা করতেই পারি।

    তবে এ কথাটাও মানতে হবে যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা এবং জনগণের অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা কেবল বাজেট বা রাজস্বনীতি দিয়ে সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে মুদ্রানীতির ভূমিকাটাও অনস্বীকার্য। সে বিচারে আসছে অর্থবছরের বাজেট পেশের আগে আগে রিজার্ভ ক্ষয়রোধ ও সামাষ্টিক-অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে যে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি ছিল তার তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি টাকা স্বল্প সময়ের মধ্যেই ছাড় হওয়ার খবরটা নিশ্চয় ইতিবাচক। আইএমএফ প্রতিনিধিদলের হালের সফর শেষে জানা গেছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারকে তারা নীতি সংস্কারের যে পরামর্শগুলো দিয়েছিল, তার বেশির ভাগই পূরণ করা সম্ভব হয়েছে।

    এর আগে দুই কিস্তিতে আইএমএফ ১০৬ কোটি ডলার ছাড় করেছে। আমরা আগেই বলেছি, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও ঋণের কিস্তি পরিশোধের যে প্রশংসনীয় ট্র্যাক রেকর্ড বাংলাদেশের রয়েছে, তার সুবাদে বাংলাদেশ আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের বিশেষ আস্থার জায়গাতেই রয়েছে। তাই জনস্বার্থের প্রতি সংবেদনশীল থেকে কাঠামোগত সংস্কারগুলো এগিয়ে নিতে পারলে আমাদের পক্ষে চলমান এই আর্থিক টানাপড়েন কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব হওয়ার কথা নয়। তবে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তার যে পাইপলাইনটা প্রায় ফেটে যাওয়ার পর্যায়ে রয়েছে, তার অধীনের প্রকল্পগুলো যথাসময়ে সুষ্ঠুভাবে প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং মূল্যায়ন করা গেলে আজ হয়তো এমন করে আইএমএফের কাছে আমাদের জবাবদিহি করার প্রয়োজন দেখা দিত না। আমাদের নীতি সার্বভৌমত্বে খানিকটা হলেও আপস করতে হতো না।

    এ সময়কার অন্য যে খবরটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, তা হলো বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার পুনরুদ্ধার করার জন্য (যথাসম্ভব বাজারভিত্তিক করার জন্য) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাহসী পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ। বাহ্যিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি ক্রান্তিকালীন পদক্ষেপ হিসেবে বৃহত্তম বিনিময় হারে ক্রলিং পেগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হারের উদারীকরণের পর এবং বিনিময় হার সংস্কারের ফলে যেকোনো মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমাতে সহায়ক হবে। মুদ্রানীতির কড়াকড়ির সহায়ক হওয়া উচিত রাজস্বভিত্তিক আর্থিক নীতি। যদি বাহ্যিক ও মুদ্রাস্ফীতির চাপ তীব্র হয়, তাহলে আরো কঠোর নীতি করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলে মত দিয়েছে আইএমএফ।

    দীর্ঘকাল ধরেই অর্থনীতিবিদরা ব্যাংকের সুদের হার বেঁধে দেওয়ার নীতি থেকে সরে আসার পরামর্শ দিচ্ছিলেন। টাকা-ডলার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ব্যাংক কিছুটা দেরিই করে ফেলেছে। তবু দেরিতে হলেও এই নীতি সংস্কারের উদ্যোগগুলোকে স্বাগত জানাই। এসব সংস্কারের ফলে বাজারে টাকার সরবরাহ কমার বদৌলতে মূল্যস্ফীতি বাগে আসতে শুরু করবে এবং ডলারের চাহিদা নিয়ন্ত্রণের সুবাদে রিজার্ভ ক্ষয়রোধ ঠেকানো সম্ভব হবে। এতে কিছু ক্ষেত্রে চাপ সৃষ্টি হলেও এই ত্যাগ আমাদের স্বীকার করতেই হবে। তবে বছরখানেক আগে এই দুটি কাজ করা গেলে জনগণের ওপর এতটা চাপ হয়তো পড়ত না।

    মুদ্রানীতিতে এই ব্যাপক সংস্কারের পরিপ্রেক্ষিতে রাজস্বনীতি তথা বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিশেষভাবে ভেবে দেখা দরকার। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে এর আগেই পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি সূত্রভিত্তিক জ্বালানিমূল্য সমন্বয় প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর সঙ্গে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় টাকার অঙ্কে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে। প্রথমত, সরকারি প্রকল্পের জন্য আমদানির ক্ষেত্রে আগে অল্প দামে, বিশেষ করে সরকারি ব্যাংক থেকে ডলার পাওয়া যাচ্ছিল। এখন এই আমদানি ব্যয় বেশ খানিকটা বেড়ে যাবে। ফলে বাজেটের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ দেওয়ার সময় তুলনামূলক কম দরকারি প্রকল্পে অনেকখানি কাটছাঁট আমাদের করতেই হবে।

    দ্বিতীয়ত, বেসরকারি আমদানিকারকরা টাকার এই সর্বশেষ অবমূল্যায়নের আগে থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে আমদানি করছিলেন। কাজেই এখন নতুন বর্ধিত বিনিময় হারের প্রভাব তাঁদের আমদানি ব্যয়ে খুব বেশি প্রভাব পড়ার কথা নয়। তাই অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন এই সর্বশেষ অবমূল্যায়নের সুযোগ নিয়ে অযথা দাম বাড়িয়ে অনৈতিক অতি মুনাফা করতে না পারেন সে জন্য বাজার তদারকি জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে কিছু বৃহৎ ভোগ্য পণ্য আমদানিকারকের কারসাজির দিকে তীক্ষ নজর রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কমিশন ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে বেশি বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

    ডলারের বিপরীতে টাকার এই সর্বশেষ অবমূল্যায়নের কারণে আমদানি ব্যয় বাড়বেই। এ অবস্থায় জনগণকে বাড়তি দামের চাপ থেকে মুক্ত রাখতে আমদানি করের ক্ষেত্রে যথার্থ সংবেদনশীলতা দেখাতে হবে। আমদানি শুল্কের ক্ষেত্রে সব পণ্যে ঢালাও ছাড় দেওয়া যাবে না। তবে জরুরি নিত্যপণ্য (যেমন—ওষুধ ও মেডিক্যাল সামগ্রী), নবায়নযোগ্য শক্তি সংশ্লিষ্ট আমদানি, কৃষি উপকরণ এবং বিপুল কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সঙ্গে জড়িত প্রকল্পের জন্য আমদানির ক্ষেত্রে দরকারমতো শুল্কছাড় দেওয়ার কথা বিবেচনা করা যায়। এ কথা সত্য যে কর-জিডিপি হার কম হওয়ায় আমাদের বেশি বেশি কর আদায়ের চাপ রয়েছে। উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে স্বনির্ভর করতে বেশি বেশি কর আহরণ জরুরিও বটে। করদাতা বাড়ানোর সুযোগও রয়েছে। কিছু নীতি সংস্কার এবং কর আদায়ে এআই টুলসহ ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে নিশ্চয় করের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব।

    তবে বাড়তি রাজস্ব আদায় করতে গিয়ে পুরো অর্থনীতির উৎপাদনশীলতাই যেন হুমকির মুখে পড়ে না যায় সেদিকেও নজর রাখা চাই। সমাজেও যেন হঠাৎ কোনো অস্থিরতা তৈরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখাটাও জরুরি। কিছু ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী করনীতি অনুসরণ করে সহজেই বাড়তি কর পাওয়া সম্ভব। যেমন—তামাকবিরোধী নাগরিক সংগঠন ও দেশি-বিদেশি গবেষকদের পরামর্শ মতে সিগারেটের দাম (বিশেষ করে সস্তা সিগারেটের দাম) বেশি করে বাড়িয়ে তার ওপর কার্যকর করারোপ করলে বাড়তি ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পাওয়ার পাশাপাশি দেশে ধূমপানের হার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমানো সম্ভব।

    টাকার অবমূল্যায়নের কারণে কেউ কেউ রপ্তানিতে যে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, তা তুলে নেওয়ার কথা বলছেন। ডলারের দাম বাড়ায় রপ্তানিকারকরা এখন সুবিধা পাবেন বলে প্রণোদনা প্রত্যাহার করার কথা ভাবা একেবারে অযৌক্তিক নয়। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, বৈশ্বিক অর্থনীতির শ্লথগতি আর ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পশ্চিমে আমাদের রপ্তানি পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে অন্তর্ভুক্তির কারণে ২০২৬ নাগাদ বিভিন্ন দেশে আমরা রপ্তানির ক্ষেত্রে যে সুবিধাগুলো পাই, সেগুলোও প্রত্যাহার হতে পারে। এই বাস্তবতায় রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোর জন্য দেওয়া প্রণোদনাগুলো সরিয়ে নেওয়ার আগে যথেষ্ট চিন্তা-ভাবনার দরকার আছে। বিশেষ করে রপ্তানি বাজারে যেসব শিল্প (যেমন—তথ্য-প্রযুক্তি, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, ওষুধ, লজিস্টিকস) সবেমাত্র তাদের সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে, তাদের জন্য ভেবেচিন্তে প্রণোদনাবিষয়ক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

    সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলোর (এমএফআই) সার্ভিস চার্জের ওপর করারোপের বিষয় নিয়েও আলোচনা উঠছে। ব্যাংকের সুদের হারে উদারীকরণের এই সময়ে এমএফআইগুলো এমনিতেই ব্যাংক থেকে টাকা সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখে আছে। এ অবস্থায় তাদের ওপর করের বোঝা চাপানো একেবারেই ঠিক হবে না। এমএফআইগুলোর ওপর করের বোঝা চাপালে তাদের করপোরেটগুলোর মতো নীতি গ্রহণে বাধ্য করা হবে। এতে সবচেয়ে ক্ষতি হবে প্রান্তিক মানুষের। কারণ এমএফআইগুলো শুধু আর্থিক সেবা দেয় না। তাদের কাজের বড় অংশজুড়ে থাকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম। সার্ভিস চার্জ হিসেবে তারা যে টাকা পায়, তা দিয়ে পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করার পর বেঁচে যাওয়া অংশ বিনিয়োজিত হয় এসব উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে।

    করের চাপ পড়লে এমএফআইগুলো বাণিজ্যিক ঋণদানকারীতে পরিণত হবে এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সংকুচিত করতে বাধ্য হবে। তারাও তখন শুধু লাভজনক ব্যবসা খুঁজবে। এতে তারা যে তৃণমূলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবা এবং সেই সুবাদে বিপুলসংখ্যক গ্রামীণ শিক্ষিত বেকারের কর্মসংস্থহানের সুযোগ করে দিচ্ছে, তা ব্যাহত হবে। তা ছাড়া এদের দেওয়া ঋণের প্রায় অর্ধেক যায় সরাসরি কৃষি খাতে। বাকিটা অকৃষি খাতে। অকৃষি খাতের উন্নতিও কৃষির অগ্রগতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাই এদের ওপর করারোপ করলে দারিদ্র্য নিরসন ও খাদ্য নিরাপত্তা—দুই-ই ঝুঁকির মুখে পড়বে।

    বিদ্যমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বাজেট প্রণেতারা রাজস্ব বাড়াতে নতুন নতুন উদ্যোগ নিলে তাকে স্বাগত জানাতেই হবে। তবে এ ক্ষেত্রে যারা কর দিচ্ছে, তাদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করা কিংবা যে খাতগুলোর ওপর কর চাপালে আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেগুলোর ওপর নতুন করে করারোপ করার কৌশল নেওয়া ঠিক হবে না। তার চেয়ে বরং কর-জালটা যতটা সম্ভব বড় করার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। সর্বোপরি কর আহরণ প্রক্রিয়ার ডিজিটাইজেশনকে বেগবান করাটাও বিশেষভাবে কাম্য। আশা করি, বাজেট প্রণেতারা মূল্যস্ফীতির এই তপ্ত সময়ে যথেষ্ট সংবেদনশীলতা দেখিয়ে একটি বাস্তবানুগ বাজেটই দেবেন। স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো মাথায় রেখেই তাঁরা নিশ্চয় তা করবেন।

    লেখক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর

    বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ইতালির ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    আরো বাজেট মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার সংবেদনশীল স্লাইডার হতে হবে
    Related Posts
    Jatio Party

    গণঅধিকার পরিষদকে নিষিদ্ধ করার দাবি জাতীয় পার্টির মহাসচিবের

    September 6, 2025

    চট্টগ্রামে জশনে জুলুস র‍্যালিতে অংশ নিয়ে প্রাণ গেল ২ জনের

    September 6, 2025
    Sarjis

    চাঁদাবাজদের মা-বাবার নাম-ঠিকানাসহ তালিকা ঝোলানো হবে : সারজিস

    September 6, 2025
    সর্বশেষ খবর
    tcl nxtpaper 60 ultra

    TCL NxtPaper 60 Ultra Launches with Stylus and Telephoto Camera at Midrange Price

    rajsi-verma

    জনপ্রিয় এই ওয়েব সিরিজগুলো ভুলেও পরিবারের সামনে দেখবেন না!

    Quinshon Judkins

    Cleveland Browns Sign Quinshon Judkins to $11.4M Rookie Deal

    বাংলাদেশ

    প্রীতি ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ড্র বাংলাদেশের

    The Man in My Basement

    The Man in My Basement Review: Hawkins and Dafoe Compel but Don’t Convince

    british

    ‘যৌন সুখ’ পেতে নিজের পা কেটে বিমা চক্রে জড়ানো ব্রিটিশ সার্জন কারাগারে

    NYT Mini Crossword

    Today’s NYT Mini Crossword Answers for Saturday, Sept. 6, 2025

    রাজনৈতিক

    ভালো রাজনৈতিক আদর্শ লালন করলে বাংলাদেশে আর স্বৈরতন্ত্র ফিরবে না

    Alien: Romulus sequel director

    Fede Álvarez Will Not Return for Alien: Romulus Sequel

    Project Odessa

    What Is Project Odessa in Gen V Season 2?

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.