গোপাল হালদার, পটুয়াখালী: লাভজনক হওয়ায় উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে দিন দিন বাড়ছে কাঁকড়া চাষ। জেলার রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ এবং কলাপাড়ার মহিপুর এলাকার লোনা পানি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় চাষিরা বাণিজ্যিকভাবে কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছেন।
নদী ও সমুদ্র থেকে কাঁকড়া শিকারীরা অপরিপক্ক কাকড়া শিকার করে নিয়ে আসে। সেই কাঁকড়া ছোট ছোট ঘেরে রেখে চাষ করছে চাষিরা।
কাঁকড়া পরিচর্যা করে পরিপক্ক করে বাজারে বিক্রির উপযুক্ত করতে হয়। পরিপক্ক কাঁকড়া স্থানীয় পাইকারদের কাছে সাইজ অনুযায়ী বিভিন্ন দামে বিক্রি করে থাকেন চাষিরা। কাঁকড়া চাষে ঝুঁকি কম ও লাভ বেশি হওয়ায় চাষিদের মধ্যে কাঁকড়া চাষে আগ্রহের জন্ম দিয়েছে।
কাঁকড়া চাষি বিধান হাওলাদার জানান, ‘বিভিন্ন স্থানের জেলেদের কাছ থেকে ছোট সাইজ এবং অপরিপক্ক কাঁকড়া সংগ্রহ করতে হয়। আমরা স্থানীয় পাইকারদের কাছে কাঁকড়ার সাইজ অনুযায়ী বিভিন্ন দামে বিক্রি করে থাকি। স্বল্প পুঁজি থাকার কারণে বেশি কাঁকড়া কিনে চাষ করা সম্ভব হয় না।’
আরেক কাঁকড়া চাষী মুছা বলেন, ‘বাজার থেকে ছোট ও গুড়া মাছ কিনে কাঁকড়াকে খাওয়ানো হয়। ৪১ দিন পড়ে ঐ কাঁকড়াগুলো প্রায় ৭শ থেকে ৮শ গ্রাম ওজনের হয়। বার মাস চলে কাঁকড়ার ব্যবসা।’
প্রতি দেড় মাসে ৫০ হাজার টাকা মূলধনে ১ লাখের বেশি টাকা আসে বলে তিনি জানান।
পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন মোকামে প্রতিকেজি কাঁকড়া বিক্রি হয় ৭ শ থেকে ১২শ টাকায়।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম জানান, পটুয়াখালীর কাঁকড়া স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বিদেশের বাজারেও পৌঁছে গেছে। এ অঞ্চলে চাষের কাঁকড়ার থেকে প্রাকৃতিক কাঁকড়ার বেশি উদপাদিত হয়ে থাকে। সমুদ্রের মোহনা থেকে শত শত নৌকা থেকে কাঁকড়া আহরণ হয়।
কাঁকড়া চাষিদের প্রযুক্তিগত সহায়তা মৎস্য বিভাগ দিয়ে থাকেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
প্রতি বছর ১০ কোটি টাকার কাঁকড়া পটুয়াখালী থেকে চীন ছাড়াও থাইল্যান্ড, মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, হংকং, তাইওয়ান, আরব আমিরাতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
সরকারিভাবে কাঁকড়া চাষিদের সাহায্য সহযোগিতা ও পরামর্শ দিলে এই জেলায় আরও কাকড়া চাষি বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।