জুমবাংলা ডেস্ক : কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর সিন্ডিকেটের কবলে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রান্তিক মুরগির খামারিরা। তাদের ইচ্ছেমতো বাজার নিয়ন্ত্রণের কারণেই নিঃস্ব এখন অনেক খামারি। আর এ কারণেই বাজারে মাঝে মাঝেই হু হু করে বাড়ছে ডিমের দাম।
হঠাৎ করে দু’সপ্তাহ ধরে ঠাকুরগাঁওয়ের বাজারগুলোতে বেড়েছে ডিমের দাম। যেখানে দু সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে এক হালি ডিম খামার পর্যায়ে বিক্রি হয়েছে ৪০-৪২ টাকা দরে। সেখানে বর্তমানে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকায়।
তবে এসব ডিম পাইকারি বাজারে গিয়ে হালি এক টাকা বেশি দরে বিক্রি করলেও খুচরা পর্যায়ে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে নাজেহাল ক্রেতারা।
খামারিদের অভিযোগ, জেলার দুটি কর্পোরেট কোম্পানির কাছে জিম্মির কারণেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারা প্রতিদিন মোবাইলে খুদে বার্তা দিয়ে দাম বেঁধে দিচ্ছে। আবার খামারিরা খামার সচলের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ালে তারা দাম কমিয়ে দিচ্ছে। এক পর্যায়ে গিয়ে খামার বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন খামারিরা। ফলে বাজার কোনভাবেই স্থিতিশীল থাকছে না।
খামার সংশ্লিষ্টরা জানান, বাজার স্থিতিশীল না থাকার পেছনে সবচেয়ে দায়ী কর্পোরেট কোম্পানি তাদের হাতে জিম্মি সবাই। আজ যদি খামারিরা স্বাধীনভাবে মুরগি ও ডিম কেনাবেচা করতে পারতো তাহলে খামারগুলো বন্ধ হতো না। উৎপাদন বাড়লেই তারা দাম কমিয়ে দেয়। যা দীর্ঘ সময় থাকে। যখন খামারিরা খামার বন্ধ করে দেয় তখন আবার বাজারে মূল্য বাড়ায়।
সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার আইয়ান পোল্টি খামারের উদ্যোক্তা বেলাল হোসেন জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের দুটি কর্পোরেট কোম্পানি কাজী ফার্ম ও নর্থ এগ্রো জেলার পুরো খামারিদের নিয়ন্ত্রণ করছে। সরকার যদি বড় কর্পোরেট কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাহলে খামারিরা আবার ফিরে আসবে। তা না হলে কখন দাম বাড়বে কখন দাম কমবে কর্পোরেট কোম্পানির লোকজনই ঠিক করবে।
এ বিষয়ে নর্থ এগ্রো লিমিটেডের ম্যানেজার (বিক্রয় ও বাজারজাতকরণ) সাঈদ রেজওয়ান উর রশিদ জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণ নয় খামারিদের ভোগান্তি নিরসন ও ভাল দাম পেতেই মেসেজ দেয়া হয়। এতে সবাই সুবিধা ভোগ করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।