জুমবাংলা ডেস্ক : ভিসার আবেদন, বিদেশে ভিসা-পাসপোর্ট রিনিউ অথবা গ্রিনকার্ড-ওয়ার্ক পারমিটের জন্য প্রয়োজন হয় পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের। আর এ ক্লিয়ারেন্স পেতে নানা রকম হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে।
শুধু হয়রানি নয়, ৫০০ টাকার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে অতিরিক্ত গুনতে হয় আরও ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করলে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এ এস আই রিয়াজ ফোন দিয়ে ডেকে এনে প্রথমে ২ হাজার টাকার দাবি করেন। ভুক্তভোগী টাকা দিতে অপরগতা জানালে করতে পারবে না বলে জানান। এমন একটি অডিও এসেছে চ্যানেল 24 অনলাইন এর হাতে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী আসলে নানা জটিলতার কথা বলে আবার ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা ছাড়া করতে পরবেন না বলে জানান পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য পাসপোর্টে দেয়া স্থায়ী অথবা বর্তমান ঠিকানার যে কোনো একটি ঠিকানায় আবেদন করতে হয়। এটি হতে হবে মেট্রোপলিটন বা জেলা পুলিশের আওতাধীন অঞ্চলে। যদি পাসপোর্টে ঠিকানা উল্লেখ না থাকে তবে ঠিকানার প্রমাণস্বরূপ ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলের দেয়া জন্ম সনদের ফটোকপি ১ম শ্রেণির সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তাকে দিয়ে সত্যায়িত করে স্ক্যান করতে হবে। আবেদনকারী যদি দেশের বাইরে অবস্থান করেন তাহলে তার পক্ষে দেশে যে কেউ আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তিনি যে দেশে অবস্থান করছেন সে দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস-হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সত্যায়িত পাসপোর্টের তথ্য পাতার ফটোকপির স্ক্যানকপি প্রয়োজন।
ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর জানান, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করলে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এ এস আই রিয়াজ আমাকে ফোন দিয়ে ডেকে এনে প্রথমে ২ হাজার টাকার দাবি করেন। পরে আমি টাকা দিতে অপরগতা জানালে করতে পারবে না বলে জানান। পরবর্তীতে নানা জটিলতার কথা বলে আবার ৫ হাজার টাকা দাবি করেন।
কিশোরগঞ্জ জেলার অন্যতম সমন্বয়ক অভি চৌধুরী বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। আমরা শুনেছি পুলিশ এমনভাবে অনেকের কাছে টাকা আদায় করছে। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার এ এস আই রিয়াজ উদ্দিন তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এরকম অডিও থাকলে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ জনগণের সেবা নিতে থানায় কোনো টাকা লাগে না। এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।